Home রাজনীতি
Category:

রাজনীতি

ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল আহ্বায়ক ও তাওহিদুল ইসলাম তুহিন সদস্য সচিব
যুবকদেরকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে-শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী
ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২৩: খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, আজকের যুব সমাজই আগামীর বাংলাদেশের কারিগর। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে যুবকদেরকে নৈতিকতার আদর্শে বলিয়ান হতে হবে। মাদকাসক্তি ও বেকারত্বের কষাঘাতে জর্জরিত যুব সমাজকে পথের দিশা দিয়ে একটি কল্যাণমুখী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী যুব মজলিস তার আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে। দেশে একটি আমূল পরিবর্তন আনতে এ যুব সংগঠন ভূমিকা রাখবে। ইসলামী যুব মজলিস এ দেশের যুবকদের একটি নির্ভরযোগ্য আশয়স্থল হবে।
আগামী রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে মুরগী, গরু গোস্ত সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আবারো বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। আড়তদার ও মজুদদারদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। রিজার্ভ ও তহবিল সংকটের কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানী ব্যহত হচ্ছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের এখনো পর্যন্ত কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এভাবে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে একটি দেশ চলতে পারে না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি আজ ইসলামী যুব মজলিসের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আজ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সকাল ১০ টায় আয়োজিত খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য মাওলানা মুশাহিদ আলী, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী, শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রভাষক মুহাম্মদ আবদুল করিম, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরী সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান,।
উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সামছুজ্জামান চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুল হক আমিনী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নুর হোসাইন, আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সোহাইল আহমদ, আবুল হোসাইন প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ, নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি, তাদেরকে ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রদান এবং একটি কল্যানমুখী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে ইসলামী যুব মজলিসের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আজ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী আগামী ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ইসলামী যুব মজলিসের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
আহ্বায়ক: ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, সদস্য সচিব: তাওহীদুল ইসলাম তুহিন. যুগ্ম সচিব: এডভোকেট মাওলানা শায়খুল ইসলাম, মাওলানা সোহাইল আহমদ, সদস্য: মাওলানা মনির হোসাইন, মহিউদ্দিন জামিল, মাওলানা আবুল হোসাইন, মাওলানা শাব্বির আহমদ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, মুহাম্মদ শাহীন, মাওলানা দেওয়ান তানজিল আহমদ, মাওলানা আজিজুল্লাহ আহমদী, সালমান আহমদ, মাওলানা আবু তাহের ও মাওলানা জহিরুল ইসলাম।
সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগরে এসে সমাপ্ত হয়।
0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে – মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ঃ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অতীতের মত সরকারের কলাকৌশল আর তালবাহানা নির্বাচন জাতি আর দেখতে চায় না। সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে ততই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না।
জাতির মুক্তির জন্য খেলাফত মজলিসের ৮ দফা মানতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক
নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী আদায়ে দেশব্যাপী জেলা-মহানগরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন ও মুফতি আজীজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের
যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নূর হোসেন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করিম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কে এম ইমরান হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা আনোয়ারুল করিম, আলহাজ্ব আমীর আলী হাওলাদার, এনামুল হক হাসান, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, হাফেজ মুহাম্মদ সালমান, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল বলেন, দেশ এক সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। মানুষ ভোট-ভাতের অধিকার বঞ্চিত, ইসলামী শিক্ষা সংকোচন করা হচ্ছে, বেকার সমস্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এসব সংকট উত্তরণে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী মেনে নিতে হবে। জনগণের সরকার কায়েমে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশের পর এক বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদম ফোয়ারা, পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাকিংর সামনে এসে শেষ হয়।
এদিকে চলমান সংকট নিরসনে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী আদায়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগরী, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ থানায়, মৌলভীবাজার শহর, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নারয়নগঞ্জ,
মানিকগঞ্জ, সাভার, চট্টগ্রাম মহানগরী ও উত্তর জেলা, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরিশাল মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী হচ্ছে- ১. ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা ২. দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের
অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ৩. নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: ৪. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ
রাখা ৫. গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা ৬. রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিতকরণ ৭. পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা ও ৮. বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দান।
0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব – ড. আহমদ আবদুল কাদের
ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশী মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বিধ্বস্ত ঘড়বাড়ি আর আহত মানুষের সংখ্যা অগনিত। এ মহা বিপর্যয়ে বিশ্ববাসীকে সামর্থানুয়ায়ী আর্তমানবতার পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ বারিধারাস্থ তুরস্কের ত্রাণ সমন্বয় (টিকা) অফিসে খেলাফত মজলিসের পক্ষে থেকে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য উপহার সামগ্রী হস্তান্তরের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় বারিধারাস্থ তুরস্কের ত্রাণ সমন্বয় অফিসে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তুর্কি দূতাবাসের রিলিজিয়াস সার্ভিস কোঅর্ডিনেটর ওজগুর ওজুরেক এর কাছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য খেলাফত মজলিসের উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো কম্বল, জ্যাকেট ও সোয়েটার। খেলাফত মজলিসের প্রতিিিনধ দলে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের নায়বে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আলহাজ্ব আমির আলী হাওলাদার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থি ছিলেন।

এ সময় ভূমিকম্পে নিহতেদর মাগফিরাত ও আহতেদর আশু আরোগ্যের জন্য সাহায্য কামনা করে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী।

পরে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বারিধারাস্থ তুর্কী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বরাবর খেলাফত মজলিসের একটি শোক বার্তা পৌছে দেয়া হয়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail
খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি: মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব নির্বাচিত
দেশে নাস্তিক্যবাদী কোন শিক্ষাক্রম মেনে নেয়া হবে না – মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী
ঢাকা, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩: খেলাফত মজলিসের নবনির্বাচিত আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে নাস্তিক্যবাদী কোন শিক্ষাক্রম মেনে নেয়া হবে না। ভুল, বিভ্রান্তিকর ইতিহাস ও কাল্পনিক দেবদেবীর মূর্তিতে ভরা পাঠ্যপুস্তক বাতিল করতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রেখে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিদায়ী আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে দ্বীন ইসলাম। হিম্মতের সাথে ময়দানে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য মানুষকে দ্বীনী আন্দোলনে সংগঠিত করতে হবে। আমাদেরকে সব সময় মজলুমের পক্ষে ও জালেমের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ সীগাল রেস্টুরেন্টে বিদায়ী আমীর মাাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ২০২৩-২৪ সেশনের জন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী খেলাফত মজলিসের আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। সংগঠনের শূরা সদস্য ও সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত আমীরে মজলিসকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম। শূরা সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান আমীরে মজলিস শায়খুল হাদিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী।
অধিবেশনে ২০২৩-২৪ সাংগঠনিক সেশনের জন্যে নির্বাচিত ১১১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ হচ্ছে:
আমীরে মজলিস- শায়খুল হাদিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মহাসচিব- ড. আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্মমহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, আলহাজ্ব সদরুজ্জামান খান, ডাঃ এ এ তাওসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক- মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, এডভোকেট মিজানুর রহমান, আহমদ আসলাম, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, মাষ্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক এ এস এম খুরশীদ আলম, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. এবিএম হাসানুজ্জামান হেলাল, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সহকারী প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আবু সালেহীন, সহকারী অর্র্র্থ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, সহকারী দফতর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি শিহাবুদ্দীন, সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবু সালমান, উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ওজায়ের আমীন, সহকারী উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল হাই, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শরীফ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসাইয়্যিব, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে সুমাইয়া, সহাকারী মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রায়হানা লোপা, নির্বাহী সদস্য- মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাস্টার সাইফুদ্দিন আহমদ, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মুফতী আবদুল হামিদ, আবু আদিবা, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক এম মোরশেদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা কাজী আসাদ উল্লাহ, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা জিন্নাত আলী, মাওলানা নুরুল আলম আল-মামুন, মাওলানা রুহুল আমীন চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসাইন মোহন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ আহমদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নেহাল আহমদ, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর এবং ৩৫ জন মহিলা সদস্যা।
অধিবেশনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ হচ্ছে- অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, অধ্যক্ষ মাসউদ খান-সিলেট, মাওলানা মুফতি রশীদ আহমদ ফারুক বর্ণভী-মৌলভীবাজার, হাফেজ মাওলানা নোমান মাজহারী- ঢাকা, মাওলানা জিয়াউল হক শামীম-ঢাকা, ডা. আবদুল্লাহ খান Ñ ঢাকা, মাওলানা হোসাইন নুরী- হবিগঞ্জ, সৈয়দ রশীদ আহমদ ফেরদৌস বিন ইসহাকÑ ঢাকা, মাওলানা তৈয়বুর রহমানÑ বাগেরহাট, মাওলানা মুহাম্মদ সালেহÑ খুলনা, সৈয়দ মুহিবুর রহমান Ñ সিলেট, হাফেজ মাওলানা নুরুজ্জামান Ñ সিলেট, অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. আবদুল লতিফ মাসুম,- জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়, এডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা Ñ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া- খুলনা মহানগরী, মাওলানা ইমাম উদ্দিন- সুনামগঞ্জ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম Ñ চাঁদপুর, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকীÑ কিশোরগঞ্জ, ড. ইউসুফ আলীÑ গাজীপুর, মাওলানা বোরহান উদ্দিন Ñচট্টগ্রাম, মাওলানা আবদুল মান্নানÑ ঢাকা, মাওলানা মোহাম্মদ আলীÑরংপুর, মাওলানা তাজুল ইসলাম Ñ কুমিল্লা, হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলামÑ চট্টগ্রাম, অধ্যাপক আলী রেজা- গোপালগঞ্জ, অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর- সিলেট, মাওলানা আবু তাহের- লক্ষ্মীপুর, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম- খুলনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কারী বজলুল হক- নারায়ণগঞ্জ, শায়খুল হাদিস মাওলানা আসাদুল্লাহ- জয়পুরহাট, মাওলানা নূরুজ্জামান খান- -শরীয়তপুর, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী-ঢাকা, ড. ফারুক হোসাইন-মানিকগঞ্জ, ডা. আবু হোসেন-চট্টগ্রাম, হাফেজ মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ-বি-বাড়ীয়া, মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী- ঢাকা, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী- নারায়ণগঞ্জ, অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম- ভোলা, মাওলানা আবুল কাসেম- পটুয়াখালী, মাওলানা মোহাম্মদ মুছাÑ মানিকগঞ্জ, মাওলানা শরাফত আলী-কুমিল্লা, মাওলানা ফখরুদ্দীন-কুমিল্লা, মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী-ঢাকা, মুফতি শরীফুল্লাহ- ঢাকা, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী- ঢাকা, মাওলানা আলী আহমদ- গোপালগঞ্জ, মোরশেদ আলম খন্দকার- ঢাকা, লে. কমান্ডার মুসলেম উদ্দিন, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান- কিশোরগঞ্জ, মাওলানা শাব্বির আহমদ- বরিশাল, অধ্যাপক ওয়াসিক বিল্লাহ নোমান-ময়মনসিংহ, মাওলানা আবদুস শাকুর কাসেমী- সাভার, শায়খুল হাদীস আসাদুল্লাহ- খুলনা মহানগরী, ড. নেসার উদ্দিন- লক্ষ্মীপুর প্রমুখ।
অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবসহ শিক্ষাক্রমে ভুল-বিভ্রান্তিকর ইতিহাস এবং বিতর্কিত ও ধর্মবিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গ, রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ প্রসঙ্গ, অর্থনৈতিক সংকট ও জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উচ্চমূল্য প্রসঙ্গ ও সুইডেনের উগ্রবাদী নেতা কর্তৃক পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে ৫টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
অধিবেশনে বিভিন্ন দাবীতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদে এ সমাবেশ হবে। আজ বুধবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় গণ-অবস্থান কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। জনগণ আর পারছে না। ১৬ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রসহ জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

বিএনপি আজ ঢাকাসহ ১০টি বিভাগীয় শহরে (সাংগঠনিক বিভাগ) গণ-অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। ঢাকার নয়াপল্টনে বেলা সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু হয়৷ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। আজকের গণ-অবস্থান ছিল তাদের দ্বিতীয় যুগপৎ কর্মসূচি। বেলা আড়াইটায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা:  এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

এর আগে সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় তাদের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশ আসে। এরপর তাদের আইনজীবী জামিননামা দাখিল করেন। পরে বিকালে কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপি’র এই দুই নেতা।

তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জানান, গত ৩রা জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করেন আদালত।

আইনজীবী জানান, পরদিন (৪ঠা জানুয়ারি) বিএনপির এই দুই নেতার জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানির জন্য রোববার (৮ই জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। এদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানিতে তাদের জামিন বহাল রাখা হয়। তিনি বলেন, এর আগে মোট চারবার মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে তাদের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

সোমবার (২ জানুয়ারি) জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা। এর আগে নিম্ন আদালতে তিনদফা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

গত ৭ই ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন।  সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রিজভী আহমেদসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।

৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এর আগে একই দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলা‌দেশের জাতীয় স‌ম্মেল‌ন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মূল নেতৃত্ব বেছে নেন নেতাকর্মীরা। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম আবারো ইসলামী আন্দোলনের আমীর পুননির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যান্য পদে যারা এসেছেন: নায়েবে আমীর- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ। মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখ। যুগ্ম মহাসচিব- মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব- হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ,  মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

এছাড়াও কেএম আতিকুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী দফতর সম্পাদক, আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক, মাওলানা নেছার উদ্দিন মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, আলহাজ মুহাম্মদ মনির হোসেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহা. আবুল খায়ের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, আলহাজ আব্দুর রহমান কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম তালুকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা মকবুল হোসাইন সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক, অধ্যাপক ডা. নাছির উদ্দিন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।

অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মুফতী দেলাওয়ার হোসেন সাকী চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা শোয়াইব হোসেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম (নাটোর), রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা মাহমুদুল হাসান (এলএলবি) সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, এম হাসিবুল ইসলাম রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জিএম রুহুল আমীন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা খলিলুর রহমান কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা নুরুল করীম আকরাম সহ-দফতর সম্পাদক, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক, মাওলানা আরিফুল ইসলাম সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ নুরুল করীম, আলহাজ মুহাম্মদ সেলিম মাহমুদ, ডা. দেলোয়ার হোসেন (ঢাকা), আলহাজ আল মুহাম্মদ ইকবাল (চট্টগ্রাম), আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার।

প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন- হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই; অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, হযরত মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, হযরত মাওলানা আব্দুল আউয়াল, হযরত মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, হযরত মাওলানা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

উপদেষ্টামণ্ডলী হচ্ছেন-
হযরত মাওলানা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বপী, শরীয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, উপদেষ্টা। হযরত মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা ড. মোশতাক আহমাদ, উপদেষ্টা। হযরত মাওলানা ওবায়দুর রহমান খাঁন নদভী, তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা, কমোডর (অব.) অধ্যাপক ড. মুহা. শফিউল্লাহ, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, উপদেষ্টা, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জহুরুল হক, উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা খোবায়েব বিন তৈয়্যব, উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা ড. বেলাল নুর আজীজি, দাওয়াহ্ বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা সৈয়দ মোমতাজুল করীম মুস্তাক, উপদেষ্টা, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্টা, ডা. মুহাম্মদ আক্কাস আলী সরকার (সাবেক সংসদ সদস্য), আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, উপদেষ্টা, আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফা, উপদেষ্টা, একেএম এরফান খান, মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা, মাওলানা আব্দুল কাদের (মেহেরপুর), উপদেষ্টা, অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (সিলেট), স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, উপদেষ্টা।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ইন্তেকাল করেছেন।  (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন তার জুনিয়র আইনজীবী মাসুদ রানা।

এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার ভেন্টিলেটশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল তাকে।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।

খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে এর আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা

সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন সহকর্মীরা। রোববার বেলা সোয়া ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী চত্বরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।

জানাজার নামাজে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক আইনজীবীসহ মরহুমের শুভাকাংখীসহ স্বজনরা অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এক শোকবাণীতে প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আজ জানাজাপূর্ব এক বক্তব্যে তিনি বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন অর্ধ শতাব্দি ধরে এই অঙ্গনে ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গন থেকে একটি নক্ষত্র খসে পড়লো। এটা আমাদের জন্য অত্যান্ত কষ্টের। তিনি কখনো বিচারকদের ওপর প্রেসার সৃষ্টি করেননি। আপিল ডিসমিস হলেও তিনি হাসতে হাসতে আদালত থেকে বের হতেন। যাবজ্জীবন সাজার মামলা নিয়ে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি ১০০ ভাগ সহায়তা করার কারণে আমরা এই জাজমেন্ট পেয়েছি।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা:  রংপুর সিটি করর্পোরেশনের তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৯৬ হাজার ৯০৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হলেন। ফলাফল ঘোষণার পর তিনি আল্লাহর প্রশংসা করে নগরবাসীকে ফলাফল উৎসর্গ করেছেন। 

মঙ্গলবার রাত ১২ টায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। তিনি বেসরকারী ভাবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২২ হাজার ২৩৯ ভোট। ভোটের ফলাফলে তিনি ৪র্থ হয়েছেন।

তবে সবাইকে তাক লাগিয়ে মোস্তফাফিজার রহমান মোস্তফার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আমিরুজ্জামান পিয়াল। তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীকের লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৬৬ ভোট।

এছাড়াও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের আবু রায়হান পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের খোরশেদ আলম খোকন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮০৯ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩৮ ভোট,  খেলাফত মজলিসের দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ২ হাজার ৬৭৯ ভোট ।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail