

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব – ড. আহমদ আবদুল কাদের
ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশী মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বিধ্বস্ত ঘড়বাড়ি আর আহত মানুষের সংখ্যা অগনিত। এ মহা বিপর্যয়ে বিশ্ববাসীকে সামর্থানুয়ায়ী আর্তমানবতার পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ বারিধারাস্থ তুরস্কের ত্রাণ সমন্বয় (টিকা) অফিসে খেলাফত মজলিসের পক্ষে থেকে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য উপহার সামগ্রী হস্তান্তরের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় বারিধারাস্থ তুরস্কের ত্রাণ সমন্বয় অফিসে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তুর্কি দূতাবাসের রিলিজিয়াস সার্ভিস কোঅর্ডিনেটর ওজগুর ওজুরেক এর কাছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য খেলাফত মজলিসের উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো কম্বল, জ্যাকেট ও সোয়েটার। খেলাফত মজলিসের প্রতিিিনধ দলে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের নায়বে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আলহাজ্ব আমির আলী হাওলাদার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থি ছিলেন।
এ সময় ভূমিকম্পে নিহতেদর মাগফিরাত ও আহতেদর আশু আরোগ্যের জন্য সাহায্য কামনা করে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী।
পরে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বারিধারাস্থ তুর্কী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বরাবর খেলাফত মজলিসের একটি শোক বার্তা পৌছে দেয়া হয়।
ঢাকা: আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদে এ সমাবেশ হবে। আজ বুধবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় গণ-অবস্থান কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। জনগণ আর পারছে না। ১৬ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রসহ জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
বিএনপি আজ ঢাকাসহ ১০টি বিভাগীয় শহরে (সাংগঠনিক বিভাগ) গণ-অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। ঢাকার নয়াপল্টনে বেলা সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু হয়৷ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। আজকের গণ-অবস্থান ছিল তাদের দ্বিতীয় যুগপৎ কর্মসূচি। বেলা আড়াইটায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
ঢাকা: এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এর আগে সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় তাদের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশ আসে। এরপর তাদের আইনজীবী জামিননামা দাখিল করেন। পরে বিকালে কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপি’র এই দুই নেতা।
তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জানান, গত ৩রা জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করেন আদালত।
আইনজীবী জানান, পরদিন (৪ঠা জানুয়ারি) বিএনপির এই দুই নেতার জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানির জন্য রোববার (৮ই জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। এদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানিতে তাদের জামিন বহাল রাখা হয়। তিনি বলেন, এর আগে মোট চারবার মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে তাদের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
ঢাকা: নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা।
সোমবার (২ জানুয়ারি) জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা। এর আগে নিম্ন আদালতে তিনদফা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত ৭ই ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রিজভী আহমেদসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা: চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে একই দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মূল নেতৃত্ব বেছে নেন নেতাকর্মীরা। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম আবারো ইসলামী আন্দোলনের আমীর পুননির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যান্য পদে যারা এসেছেন: নায়েবে আমীর- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ। মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখ। যুগ্ম মহাসচিব- মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব- হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
এছাড়াও কেএম আতিকুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী দফতর সম্পাদক, আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক, মাওলানা নেছার উদ্দিন মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, আলহাজ মুহাম্মদ মনির হোসেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহা. আবুল খায়ের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, আলহাজ আব্দুর রহমান কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম তালুকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা মকবুল হোসাইন সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক, অধ্যাপক ডা. নাছির উদ্দিন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মুফতী দেলাওয়ার হোসেন সাকী চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা শোয়াইব হোসেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম (নাটোর), রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা মাহমুদুল হাসান (এলএলবি) সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, এম হাসিবুল ইসলাম রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জিএম রুহুল আমীন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা খলিলুর রহমান কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা নুরুল করীম আকরাম সহ-দফতর সম্পাদক, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক, মাওলানা আরিফুল ইসলাম সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ নুরুল করীম, আলহাজ মুহাম্মদ সেলিম মাহমুদ, ডা. দেলোয়ার হোসেন (ঢাকা), আলহাজ আল মুহাম্মদ ইকবাল (চট্টগ্রাম), আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন- হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই; অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, হযরত মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, হযরত মাওলানা আব্দুল আউয়াল, হযরত মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, হযরত মাওলানা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
উপদেষ্টামণ্ডলী হচ্ছেন-
হযরত মাওলানা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বপী, শরীয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, উপদেষ্টা। হযরত মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা ড. মোশতাক আহমাদ, উপদেষ্টা। হযরত মাওলানা ওবায়দুর রহমান খাঁন নদভী, তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা, কমোডর (অব.) অধ্যাপক ড. মুহা. শফিউল্লাহ, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, উপদেষ্টা, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জহুরুল হক, উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা খোবায়েব বিন তৈয়্যব, উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা ড. বেলাল নুর আজীজি, দাওয়াহ্ বিষয়ক উপদেষ্টা, হযরত মাওলানা সৈয়দ মোমতাজুল করীম মুস্তাক, উপদেষ্টা, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্টা, ডা. মুহাম্মদ আক্কাস আলী সরকার (সাবেক সংসদ সদস্য), আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, উপদেষ্টা, আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফা, উপদেষ্টা, একেএম এরফান খান, মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা, মাওলানা আব্দুল কাদের (মেহেরপুর), উপদেষ্টা, অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (সিলেট), স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, উপদেষ্টা।
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন তার জুনিয়র আইনজীবী মাসুদ রানা।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার ভেন্টিলেটশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল তাকে।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।
খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে এর আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা
সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন সহকর্মীরা। রোববার বেলা সোয়া ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী চত্বরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজার নামাজে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক আইনজীবীসহ মরহুমের শুভাকাংখীসহ স্বজনরা অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এক শোকবাণীতে প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আজ জানাজাপূর্ব এক বক্তব্যে তিনি বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন অর্ধ শতাব্দি ধরে এই অঙ্গনে ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গন থেকে একটি নক্ষত্র খসে পড়লো। এটা আমাদের জন্য অত্যান্ত কষ্টের। তিনি কখনো বিচারকদের ওপর প্রেসার সৃষ্টি করেননি। আপিল ডিসমিস হলেও তিনি হাসতে হাসতে আদালত থেকে বের হতেন। যাবজ্জীবন সাজার মামলা নিয়ে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি ১০০ ভাগ সহায়তা করার কারণে আমরা এই জাজমেন্ট পেয়েছি।
ঢাকা: রংপুর সিটি করর্পোরেশনের তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৯৬ হাজার ৯০৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হলেন। ফলাফল ঘোষণার পর তিনি আল্লাহর প্রশংসা করে নগরবাসীকে ফলাফল উৎসর্গ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২ টায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। তিনি বেসরকারী ভাবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২২ হাজার ২৩৯ ভোট। ভোটের ফলাফলে তিনি ৪র্থ হয়েছেন।
তবে সবাইকে তাক লাগিয়ে মোস্তফাফিজার রহমান মোস্তফার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আমিরুজ্জামান পিয়াল। তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীকের লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৬৬ ভোট।
এছাড়াও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের আবু রায়হান পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের খোরশেদ আলম খোকন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮০৯ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩৮ ভোট, খেলাফত মজলিসের দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ২ হাজার ৬৭৯ ভোট ।