Home স্বাস্থ্য
Category:

স্বাস্থ্য

ঢাকা: ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, বিরল নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফিতে (এসএমএ) আক্রান্ত রাইয়ান এখন অনেকটা সুস্থ। শিশু রাইয়ান বর্তমানে তার মা বাবার সঙ্গে মানিরকগঞ্জে নিজ বাড়িতে আছে।

ডা. জহিরুল হক বলেন, রাইয়ান তার শরীর এখন আগের চেয়ে ভালোভাবে নড়াচড়া করতে পারছে। গত ২৫ অক্টোবর রাইয়ানকে থেরাপির এই ইনজেকশন দেয়া হয়। চলতি বছর গত ২১ নভেম্বর তাকে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ফলোআপের জন্য আবারো আনা হয়।
রাইয়ানকে সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের ডা. জোবাইদা পারভীন। তিনি বলেন, রাইয়ানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আগে হাত নাড়াতে পারলেও মাথার উপর নিতে পারত না। এখন মাথার ওপরে হাত তুলতে পারছে। রাইয়ান আগে শোয়া অবস্থায় কাত হতে পারত না, এখন তা পারছে।

তিনি বলেন, রাইয়ানের বাড়ি মানিকগঞ্জে হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে রাইয়ানের মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখছেন ডা. জুবাইদা। তবে তার মাকে ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। তার মা বাড়িতে বসেই এসব থেরাপি দিচ্ছেন। তবে রাইয়ানের পরিপূর্ণ সুস্থ হতে সময়ের প্রয়োজন।

প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দেওয়া হলে আস্তে আস্তে রাইয়ান হাঁটতে শিখবে বলে প্রত্যাশা এ চিকিৎসকের। দেশে এবারই প্রথমবারের মতো ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি’ (এসএমএ) রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছিল জিন থেরাপি।
রাইয়ানই প্রথম রোগী যাকে এই চিকিৎসা দেয়া হয়। রাইয়ানকে যে ওষুধ দেয়া হয়েছে তার প্রতি ডোজের দাম প্রায় ২২ কোটি টাকা। যা বিনামূল্যে দিয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস। এই জিন থেরাপি ইউএসএফডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) অনুমোদিত।

উল্লেখ্য,স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি একটি বিরল ও জটিল স্নায়ুতন্ত্রের জন্মগত রোগ, যা জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত শিশুর ঘাড় শক্ত হয় না। তারা বসতে পারে না। তবে কথা বলতে পারে, যোগাযোগ করতে পারে কারণ বুদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু শরীরের নড়াচড়া কম থাকে, ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হয়। শ্বাসকষ্টের কারণে শ্বাসের জন্য যে মাংসপেশি তা দুর্বল হয়ে যায় এবং একপর্যায়ে মারা যায় এ রোগে আক্রান্ত শিশু।
এদিকে রাইয়ানের  সার্বক্ষনিক স্বাস্থ্যের খোজঁখবর রাখা নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসক ডা. জুবাইদার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি সুইচ অফ বলায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। আমাদের সময়.কম

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

চলতি বছর দেশে আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে। প্রতিদিনই মৃত্যুর সংবাদ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু বাংলাদেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এতে মৃত্যুও হচ্ছে। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী দম্পতি উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি

ঢাকা: এই দশকের মধ্যেই মরণব্যাধি ক্যানসারের টিকা পাওয়া সম্ভব, এই আশার কথা শুনিয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকার সফল আবিষ্কারক দম্পতি। খবর গার্ডিয়ানের।

জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী দম্পতি উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি বলেছেন, তাদের গবেষণার কাজ এ আশা সৃষ্টি করেছ যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ক্যানসারের টিকা সহজলভ্য হবে। এমআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার করে ফাইজারের সহযোগিতায় বায়োএনটেকের যুগান্তকারী করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে নেতৃত্ব দেন এই দম্পতি।

তাঁরা বলেছেন, ‘মহামারিতে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা আবিষ্কার এবং সাফল্যই “আমাদের ক্যানসারের কাজে ফিরিয়ে নিয়েছে”।’

বিবিসির সানডে অনুষ্ঠানে লরা কুয়েন্সবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান দম্পতি কথা বলেছেন, কীভাবে করোনার টিকা আবিষ্কারে ব্যবহৃত এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারের টিকা আবিষ্কারে সহযোগিতা করেছে।

এমআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার করে তৈরি ক্যানসারের টিকা কবে নাগাদ রোগীর ব্যবহারের উপযোগী হবে—উত্তরে অধ্যাপক সাহিন বলেন, ‘এটা ২০৩০ সালের আগেই হয়ে যাবে।’

জার্মানির মেইঞ্জ শহরে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি দম্পতি।

এমআরএনএ টিকা কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলো মানুষের শরীরে জিনগত নির্দেশনা ঢুকিয়ে দেয়। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো অপরাধী ধরতে পুলিশের দেওয়া ‘ধরিয়ে দিন’ বিজ্ঞপ্তির মতো একধরনের বার্তা দেয়। এরা শরীরে রোগপ্রতিরোধী শক্তিগুলোকে বলে দেয় যে কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

বিবিসিকে তুরেসি বলেছেন, ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেখানে রোগপ্রতিরোধীব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলে।

ক্যানসারের টিকা তৈরির জন্য বায়োএনটেক কয়েক দশক ধরে কাজ করছে। তবে কোভিড–১৯ সংক্রমণ শুরু হলে তারা এর টিকা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির এখন একাধিক ক্যানসারের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।

তুরেসি বলেন, ‘এখন কোভিড-১৯–এর টিকা এবং এটি তৈরি করতে গিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা ক্যানসারের টিকা আবিষ্কারের কাজকে গতিশীল করছে। আমরা শিখেছি কীভাবে আরও ভালো, আরও দ্রুত টিকা তৈরি করা যায়। আমরা বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে ইমিউন সিস্টেম কীভাবে এমআরএনএর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটি শিখেছি।’

তিনি বলেন, করোনার টিকা আবিষ্কার নিয়ন্ত্রকদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন এবং কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয়, সে সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে।

তুরেসি বলেছেন, এটি অবশ্যই আমাদের ক্যানসারের টিকা তৈরির গতিকেও ত্বরান্বিত করবে। এই দম্পতি ক্যানসারের টিকা আবিষ্কারের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন।

অধ্যাপক তুরেসি বলেছেন, ‘বিজ্ঞানী হিসেবে এটা বলতে আমরা সব সময় দ্বিধান্বিত যে আমাদের কাছে ক্যানসার সারানোর দাওয়াই আছে। তবে আমাদের অনেকগুলো ভালো অর্জন আছে। আর আমরা সেগুলোর ওপর কাজ চালিয়ে যাব।’

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনতত্ত্ববিদ এসভান্তে পাবো।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসায় এ বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নোবেল অ্যাসেম্বলি জানায়, বিলুপ্ত হোমিনিন এবং মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য এসভান্তে প্যাবো এবার চিকিৎসায় নোবেল পেলেন।

চলতি বছর ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই বছরের পুরস্কার কার্যক্রম শেষ হবে।

গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা সনদ ও সোনার মেডেলসহ এক কোটি ক্রোনা বা নয় লাখ মার্কিন ডলার পেয়ে থাকেন।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

স্বাস্থ্য ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার ৩৫৩ জনে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৭২ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৬৯০ জনে।

আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৮১টি ল্যাবে ৪ হাজার ৪১৭টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৪ হাজার ৪১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।এদিকে, একদিনে করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ৩৫৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৮৭২ জন।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হঠাৎ অনেক বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল মাত্র ২ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৮৫ জনের।

এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৭৪ জনে। আর মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৪ জনে।

সোমবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৮২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ জন।

২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৮৪২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ৯ জন ঢাকা বিভাগের। আর চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১ জন করে। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী।

রোববার ২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯০২ জনের।

তার আগে শনিবার জানানো হয়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন মারা যান, আর শনাক্ত হয় ১ হাজার ১০৫ জনের।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। নয়া দিগন্ত

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: অন্তত ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে উদ্বিগ্ন সারাবিশ্ব। এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত শনিবার (২১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্টসহ সমস্ত পোস্টগুলোকে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং অতিদ্রুত যেন তাকে সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নাজমুল ইসলাম বলেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা ভাইরাসটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সারাবিশ্ব থেকেই তথ্য-উপাত্ত নেব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটি আমরা নেব।

জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনদের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধিদপ্তরের এ পরিচালক জানান, আমরা যখন কোনো নির্দেশনা দিই, তখন সেটি জেলা সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়েই সেটি চলে যায়। সব জেলায় তো ল্যান্ড পোর্ট নেই। যেসব জেলায় আছে সেগুলোতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কারণ, ভাইরাসটি তো মূলত বন্দর দিয়ে আসে, তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ভাইরাল সংক্রমণজনিত রোগটি পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকায় সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও এবার সেই গণ্ডি পেরিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৮০ জনের মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ১১টি দেশে আরও ৫০ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে।

 মাঙ্কিপক্স নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আদ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে রোগটি।

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।

রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।

গত ৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয় নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। নাইজেরিয়া থেকে ওই ব্যক্তি ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছিলেন। এরপর থেকে আফ্রিকার বাইরে ১০০ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড একাডেমিক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চলমান প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স শনাক্তের ঘটনাগুলো কিছুটা অস্বাভাবিক। যেসব দেশে ভাইরাস নিয়মিত ছড়িয়ে পড়ে না, সেসব দেশে বর্তমানে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। বর্তমানে শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসের উত্স এবং এর রূপ বদল ঘটেছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

মাঙ্কিপক্সে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, স্পেন এবং পর্তুগালেই বেশিরভাগ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতেও সংক্রমণ ঘটেছে এবং বোস্টনেও মাঙ্কিপক্সে একজনের সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাইয়ে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগেই কর্তৃপক্ষ এ শহরের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় লকডাউন দিয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও সেখানে সংক্রমণ এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। এছাড়া পুরো চীনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাংহাইয়ের লোকসংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখের মতো। তৃতীয় দিনে চীনের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সাংহাইয়ে হুয়াংহো নদী বরাবর কর্মকর্তারা কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন। এক অংশে রয়েছে নদীটির পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক জোন থেকে পশ্চিমে ঐতিহাসিক প্রাণকেন্দ্র পর্যন্ত।অন্যদিকে শিল্প শহর পুডংয়ে চলছে গণহারে পরীক্ষা। পূর্বাঞ্চলের জনগণ সোমবার থেকে লকডাউনে রয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের জনসাধারণের চারদিনের লকডাউন শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী শুক্রবার থেকে। কিন্তু তার দু’দিন আগেই এই লকডাউন শুরু হয়েছে। সাংহাইয়ের মতো একটি বড় মেট্রোপলিসকে যদি আবার পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়া হয় তাতে জাতীয় প্রবৃদ্ধি শতকরা চারভাগ কমে যাবে বলে মনে করছেন চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং, সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনীতিবিদরা। তারা এমন আভাস দিয়েছেন মধ্য মার্চে।
সাংহাইয়ে বুধবার লক্ষণহীন করোনায় আক্রান্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৬৫৬ এবং লক্ষণযুক্ত সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে ৩২৬। মঙ্গলবারের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক বেশি। মঙ্গলবার লক্ষণবিহীন সংক্রমণ হয়েছিল ৪৩৮১ জন। লক্ষণযুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৬ জন। লক্ষণবিহীন করোনা আক্রান্তকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে চীন। এতে বলা হচ্ছে লক্ষণবিহীন সংক্রমণ বলা হবে তখন, যখন তা পরবর্তীতে লক্ষণযুক্ত সংক্রমণে পরিণত হয়।
পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারীদের অনেকে মঙ্গলবার বলেছেন, হাউজিং কমিটি থেকে তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী সাতদিন তারা বাসা থেকে বাইরে যেতে পারবেন না। একটি নোটিশে বলা হয়েছে, আমরা খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবন শুরু করবো। কিন্তু পরবর্তী সময়ের জন্য আমরা সবাইকে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে গৃহীত ব্যবস্থা ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করার অনুরোধ করছি। অনেকে একত্রিত হবেন না। চলাচল কমিয়ে ফেলুন।
পক্ষান্তরে শহরের দক্ষিণে মিনহাংয়ে বসবাস করেন কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ। তারা বলেছে, আগামী ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত তারা সব রকম পাবলিক বাস চলাচল স্থগিত রাখবে। বুধবার সাংহাই কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, লকডাউন শুরু হয়েছে সোমবার। এরই মধ্যে তারা ৯১ লাখ নিউক্লিক এসিড টেস্ট করেছেন। আরও বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন স্থান, যেমন সরকারি ভবন, নির্মাণ স্থাপনা, সামুদ্রিক পণ্যের মার্কেট এবং স্কুলে এক মাস ধরে জীবাণুনাশক কর্মকা- শুরু করেছে।
এরই মধ্যে পুডংয়ের ব্যবসায়িক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শহরে অটো নির্মাণ স্থাপনায় প্রভাব লেগেছে লকডাউনে। তেসলার সঙ্গে যোগ দিয়েছে আপটিভ এবং থিসেনক্রুপ। তারা তাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে করোনার কারণে গৃহীত পদক্ষেপের কারণে। সাংহাই সরকার বলেছে, তাদের অফিসিয়াল উইচ্যাট একাউন্টে মঙ্গলবার দিনের শেষের দিকে বলেছে- যারা নিউক্লিক এসিড টেস্ট পরীক্ষা করাতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদেরকে দায় বহন করতে হবে।
চীনের মূল ভূখন্ডে দু’সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরের প্রথম দুই মাসে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, তার চেয়ে বেশি হারে এখন সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। মানব জমিন

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: দেশে এখন থেকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৪ মাস পার হলেই বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে। আগামী ১৭ই মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে, সেদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বাংলাদেশে এতদিন করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছিল। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।
১৭ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আমরা টিকা দেয়ার বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ দেয়া হবে। এরমধ্যে দুই কোটি ডোজ দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। বাকীটা প্রথম এবং বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সময় ৪ মাস পার হয়েছে তারা এখন থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। যারা টিকা নেবে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এতদিন দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেয়া হতো।

কিন্তু এখন থেকে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর যাদের চার মাস হয়ে গেছে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। বুস্টার ডোজের জন্য আগের নিয়মেই মোবাইলে এসএমএস যাবে। কেউ যদি এসএমএস নাও পায় তাহলে সে আসলে টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এ পর্যন্ত ১২ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ, ৯ কোটি ৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আমরা অপেক্ষায় আছি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার অপেক্ষায়।

সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

বাংলাদেশে ১২ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। আর ৪০ বছরের উপরের নাগরিকদেরও করোনা ভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস মিলনাতনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ১২ বছরের বেশি বয়সীরা অন্যদের মত নিবন্ধন করবেন। নিবন্ধন না করলেও জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা নিতে পারবে।
আমরা এখন ১২ বছর বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছি। এখন এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ৪০ বছরের উপরের নাগরিকদেরও করোনা ভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এটা আজই উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।
আমরা ষাটোর্ধ নাগরিকদের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছি। পরে ৫০ বছরে কমিয়ে আনার পরও দেখা গেছে খুব বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বয়সসীমা আরও কমিয়ে এনেছি।

আমাদের হাতে বুস্টার ডোজ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা আছে।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail