Home আন্তর্জাতিক
Category:

আন্তর্জাতিক

ঢাকা: নাটকীয়তার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম উত্তেজনা। তার বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেলন সম্প্রচারে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পেমরা) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইমরান খানের বক্তব্য প্রচার করার প্রায় দু’ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এআরওয়াই নিউজের লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছে। সোমবার তার বিরুদ্ধে জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ ও ডন।

তোশাখানা মামলায় পর পর তিনবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য তাকে আদালতে উপস্থিত হতে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি একবারও উপস্থিত হননি। এ জন্য তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। রোববার ইসলামাবাদ ও লাহোর পুলিশ জামান পার্কে অবস্থিত ইমরান খানের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে তাকে গ্রেপ্তার করতে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর বাধায় পুলিশ পিছু হটে। এক পর্যায়ে একজন এসপি ওই বাসার ভিতরে প্রবেশ করে ফিরে আসেন।

তিনি জানান, ইমরান খানকে তার রুমে পাওয়া যায়নি। অথচ তার পরপরই ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার বিরুদ্ধে তিক্ত বাক্য বর্ষণ করে ভাষণ দেন। এ নিয়ে পাকিস্তানের হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। দিনের শেষে রিপোর্টে বলা হয়, ইমরান খান ওই ভাষণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়েছেন। এ জন্য তার ভাষণ ও সংবাদ সম্মেলন সম্প্রচার করা যাবে না। ওই ভাষণে ইমরান খান বলেছেন, গত বছর এপ্রিলে তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের নেপথ্যে ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। এ অবস্থায় পেমরা তার নোটিফিকেশনে বলেছে, ইমরান খান ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আইন শৃংখলা বিশৃংখল করার চেষ্টা করছেন। শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে ইমরানের বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিল পেমরা। তারা এআরওয়াই নিউজের লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছে। বলেছে, এই সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেলটি ইমরান খানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। তারা নির্দেশ অমান্য করেছে। এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এআরওয়াই নিউজের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রাত আটটার পর পেমরার বিবৃতি পেয়েছেন তারা। ততক্ষণে রাত ৯টার বুলেটিনে চলে গেছে ইমরান খানের ভাষণের ক্লিপ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা সত্ত্বেও শুধু আমাদের চ্যানেলের লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছে। পেমরার এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান।

 

ওদিকে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত দাবি করে সোমবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে আবেদন করেন ইমরান খান। কিন্তু আদালতের অতিরিক্ত সেশন জজ জাফর ইকবাল বলেছেন, এ মামলার শুনানির পর তিনি আগের দিনের রায়ই বহাল রাখছেন। অর্থাৎ ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল থাকবে। সোমবারের শুনানিতে ইমরান খানের আইনজীবী আলি বুখারি, কায়সার ইমাম এবং গহর আলি খান আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। বুখারি বলেন, তার মক্কেল সব সময় আদালতের নির্দেশ মেনে চলেন। এ সময় কায়সার ইমাম বলেন, ইমরান খান নিজে উপস্থিত হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। এ সময় বিচারক বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিতের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যেতে পারেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ প্রধান ইমরান খান।

জবাবে ইমাম বলেন, তারা চান যে সেশন কোর্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করুক। আদালতকে এ সময় আইনজীবী বুখারি জানান, লাহোরের জামান পার্ক এলাকার বাসায় অবস্থান করছেন পিটিআই প্রধান। আদালতে যাওয়ার উপায় জানতে চাইছেন তিনি। কায়সার ইমাম বলেন, নির্বাচনী আইন ২০১৭ এর অধীনে পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে একটি ‘প্রাইভেট অভিযোগ’ নিবন্ধিত হয়েছে। তিনি যুক্তি দেখান, প্রাইভেট অভিযোগের ওপর সাধারণত কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় না। এ জন্য তারা আদালতকে ওয়ারেন্ট স্থগিত করার অনুরোধ করেন। জবাবে বিচারক বলেন, পিটিআই প্রধানের আইনজীবী তাদেরকে জানিয়েছেন, তাদের মক্কেল আদালতে উপস্থিত হবেন না। ফলে বিচারক আগের রায় বহাল রাখেন।
তোশাখানা মামলায় আদালতে অনুপস্থিতির কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ২৮শে মার্চ জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত সেশন জজ জাফর ইকবাল। এই আদেশ অনুযায়ী রোববার একজন এসপির নেতৃত্বে ইসলামাবাদ পুলিশের একটি টিম লাহোরের জামান পার্কে যায় পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হন।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা বজায় রাখতে’ যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলেন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। এখন থেকে দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা এই তিনজনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে হবে।

সুপ্রিমকোর্টের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করছেন অনেকেই। খবর এনডিটিভির।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, সারা দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিন সদস্যের কমিটি নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবে। তার ভিত্তিতেই কমিশনারদের নিযুক্ত করবেন রাষ্ট্রপতি।

সুপ্রিমকোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রয়োজন। সেই স্বচ্ছতার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন শীর্ষ আদালত।

বর্তমান ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। তাদের কার্যকালের মেয়াদ হয় ৬ বছর। সচরাচর দেশের সাবেক আমলাদের এই পদে বেছে নেওয়া হয়। তবে এই মনোনয়ন নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস কিংবা বিজেপি, বিভিন্ন আমলেই বিরোধী দলগুলোর দাবি— সরকারের ঘনিষ্ঠ আমলাদের নির্বাচন কমিশনার করা হচ্ছে। যুগান্তর

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

জ্যাভেলিন

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে দ্রুত এগিয়ে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। সে সময় ইউক্রেনের জন্য এমন কিছুর প্রয়োজন ছিল, যা প্রতিপক্ষের হামলা ঠেকাতে পারবে। আর সে কাজটিই বেশ ভালোভাবে করতে পেরেছে জ্যাভেলিন। এটি কাঁধ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ব্যক্তি একাই এটি পরিচালনা করতে পারেন। ব্যবহারের পদ্ধতি সহজ হওয়ার কারণে এ অস্ত্রের গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন ও রেথিয়ন যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে।

লকহিড মার্টিনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার আগে ডিসপ্লেতে কার্সর দিয়ে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে দিতে হয়। জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর এটি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই পরিচালনাকারী ব্যক্তি নিরাপদ অবস্থানে সরে যেতে পারেন। এতে তিনি পাল্টা হামলা থেকেও রেহাই পান।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে রুশ বাহিনী যখন শহর এলাকাগুলোয় ঢোকার চেষ্টা করছিল, তখন জ্যাভেলিন ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছিল ইউক্রেন। জ্যাভেলিন অপারেটর কোনো ভবন কিংবা গাছের আড়াল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিরাপদে সরে যেতে পারতেন।

রুশ ট্যাংকের দুর্বল জায়গাগুলোও ভেদ করতে পেরেছে জ্যাভেলিন। কারণ, জ্যাভেলিন ছোড়ার পর তা বক্ররেখার মতো ওপরের দিকে উঠে যায় এবং ওপর থেকে নিচে থাকা লক্ষ্যবস্তুর ওপর আছড়ে পড়ে।

যুদ্ধের শুরুর দিকে বেশ কিছু রুশ ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গিয়েছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জ্যাভেলিনের আঘাতের কারণে এমনটা হতে দেখা গেছে।

জ্যাভেলিনের ভূমিকা এতটাই ভালো ছিল যে যুদ্ধের আড়াই মাসের মাথায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাবামায় এর উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন। ইউক্রেনের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য সেখানকার কর্মীদের প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

জ্যাভেলিন ব্যবহারের আরও একটি সুবিধা হলো এটি রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। অন্টারিওর ব্রক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল আর্মস্ট্রং দ্য কনভারসেশনে লিখেছিলেন, কম খরচ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবহারের কারণে অন্য দেশগুলোর জন্য এগুলো সরবরাহ করাটা রাজনৈতিকভাবেও সহজ।

হিমার্স রকেট-ব্যবস্থা

হিমার্স রকেট-ব্যবস্থা  ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

হিমার্স

এর পুরো নাম এম১৪২ হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম। মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন হিমার্স–ব্যবস্থার প্রস্তুতকারক ও স্বত্বাধিকারী। আসলে হিমার্স–ব্যবস্থা হচ্ছে একটি পাঁচ টন ওজনের ট্রাক, যেখানে একটি উৎক্ষেপণব্যবস্থা আছে এবং তা থেকে প্রায় একই সঙ্গে ছয়টি রকেট ছোড়া যায়। যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখ সারিতে হামলা চালিয়ে পাল্টা হামলা এড়াতে এটি দ্রুত অবস্থান বদল করে ফেলতে পারে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক কানসিয়ান জানুয়ারিতে লেখেন, ‘যুদ্ধের শুরুর ধাপে জ্যাভেলিন যেমন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তেমনি পরবর্তী ধাপে হিমার্স গুরুত্বপূর্ণ ওঠে।’

হিমার্স যে ধরনের যুদ্ধাস্ত্র ছোড়ে, সেগুলোকে গাইডেড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (জিএমএলআরএস) নামে অভিহিত করা হয়। এসব রকেট ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০ মাইল) দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। জিপিএস–ব্যবস্থায় পরিচালিত হওয়ার কারণে হিমার্স অত্যন্ত যথার্থভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পারে।

গত জুলাইয়ে রুশ সাংবাদিক রোমান সাপেনকভ বলেছিলেন, তিনি খেরসন বিমানবন্দরে একটি রুশ ঘাঁটিতে হিমার্স রকেট–ব্যবস্থা দিয়ে হামলা হতে দেখেছেন। খেরসন এলাকাটি তখন রুশ বাহিনীর দখলে ছিল।

রোমান সাপেনকভ লিখেছেন, ‘ছোট একটি জায়গার ওপর একসঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি রকেট এসে পড়ছে, এমন দৃশ্য দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের অধ্যাপক ইয়াজিল হেনকিন বলেন, হিমার্সের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। এ অস্ত্র দিয়ে হামলার কারণে রুশ বাহিনী তাদের গোলা বারুদের ভান্ডার সরিয়ে নিয়েছিল। এতে যুদ্ধক্ষেত্রের খুব কাছে গোলা বারুদ পাওয়াটা রুশ বাহিনীর জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাওয়াটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল।

সেতুর মতো লক্ষ্যবস্তুগুলোয় দীর্ঘ পাল্লার এই রকেট ব্যবহার করে হামলা চালানোর কারণে রুশ সরবরাহ প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তুরস্কের বেরাকতার কোম্পানির তৈরি টিবি২ ড্রোন

তুরস্কের বেরাকতার কোম্পানির তৈরি টিবি২ ড্রোন ছবি: এএফপি

বেরাকতার টিবি২ ড্রোন

এ ড্রোন তুরস্কের নকশায় তৈরি। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে এটি বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত চালকবিহীন ড্রোনগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

এ ড্রোন অপেক্ষাকৃত সস্তা। এটিতে অভিযানের ভিডিও রেকর্ড করা থাকে। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার নিয়ন্ত্রিত রকেট এবং স্মার্ট বোমা ছুড়ে রুশ সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদ ও সরবরাহ–ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক আরন স্টেইন লিখেছেন, টিবি২–এর ভাইরাল ভিডিওগুলো টিকটক যুগে আধুনিক যুদ্ধাবস্থার যথার্থ দৃষ্টান্তকে উপস্থাপন করছে। বেরাকতার টিবি২ কোনো জাদু অস্ত্র নয়, তবে এটি যথেষ্ট রকমে ভালো।

তবে বেরাকতার টিবি২ দুর্বল দিকও আছে। আরন স্টেইন মনে করেন, এর গতি কম। আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এর সক্ষমতাও কম।

যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিও তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিরক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট ওরিক্সের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন যে ৪০ থেকে ৫০টি টিবি২ ড্রোন পেয়েছিল, তার মধ্যে ১৭টি যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে গেছে।

তবে স্টেইন মনে করেন, ড্রোনগুলো সস্তা হওয়ায় এগুলো ধ্বংস হলেও খুব একটা কিছু যায় আসে না। সস্তা হওয়ায় এসব ড্রোন নষ্ট হলে আবার সহজে নতুন ড্রোন নিয়ে আসা যায়।

টিবি২ নিয়ে ইউক্রেনে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়েছে। আর তাতেই বোঝা যায় টিবি২ ইউক্রেনীয়দের কাছে কতটা জনপ্রিয়। প্রথম আলো

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া ১০টি শহরের ৩০ হাজার বাড়ি খুব দ্রুত পুনর্নির্মাণ শুরু করা হবে। খবর ডেইলি সাবাহর।

দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) সদর দপ্তরে বুধবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, অনুসন্ধান, উদ্ধার ও ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার পরপরই পুনর্গঠন কাজ শুরু হবে।

ধসে পড়া ভবন থেকে সর্বশেষ জীবিত ব্যক্তিকে বের না করা পর্যন্ত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমন বাড়ি নির্মাণের জন্য তুরস্কের হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (টিওকেআই) স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

এরদোগান বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটি এক বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাড়িগুলো নির্মাণ করবে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে দুটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ৩ হাজার ১০৭টি আফটার শক (পরাঘাত) হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪১৮ জন। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে আহত ১৩ হাজার ২০৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তুরস্কের ২৮ হাজার সৈন্য এবং আড়াই লাখ বেসামরিক কর্মী ভূমিকম্প অঞ্চলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যুগান্তর

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনার আকাশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভূপাতিত করা চীনা বেলুন থেকে গোয়েন্দা ডিভাইস পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন সেনারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সোমবার জানিয়েছে, চীনা সেই বেলুনটি থেকে খুবই সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেছে, যা গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ড এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বেলুনে সন্নিবেশিত স্পর্শকাতর ডিভাইস দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, গোয়েন্দা নজরদারির জন্যই এ বেলুন ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে বেলুন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে চীন। চীন বলেছে— ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকা বিনা অনুমতিতে তাদের আকাশসীমায় অন্তত ১০টি বেলুন উড়িয়েছে।

আমেরিকার আকাশে চীনের বেলুন ওড়ানো নিয়ে যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন চীনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হলো। খবর সিনহুয়ার।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমেরিকার বেলুন সম্পর্কে অভিযোগ করেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি কানাডার আকাশ থেকে আমেরিকা ও কানাডা সম্মিলিতভাবে যে উড়ন্ত বস্তু ভূপতিত করেছে, সে সম্পর্কে বেইজিংয়ের কোনো ধারণা নেই। তবে আমেরিকা প্রথম যে বেলুনটি ভূপাতিত করেছে সেটি চীনের।

এ সময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনাবশত চীনের বেলুনটি আমেরিকার আকাশে চলে গেছে। সপ্তাহখানেক আগে আমেরিকার আকাশ থেকে চীনের একটি বেলুন ভূপাতিত করা হয়।

আমেরিকার দাবি, গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য চীন ওই বেলুন পাঠিয়েছে, তবে চীনা তা অস্বীকার করে চলেছে।

এর পর আমেরিকা ও কানাডার আকাশ থেকে আরও তিনটি উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করা হয়। এ নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে মারাত্মক কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভূমিকম্পে সিরিয়ায় এখনো পর্যন্ত পাঁচ হাজার পাঁচ শ’ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তুরস্কে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে যে সিরিয়ায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

দুই দেশেরই উদ্ধারকারী দলগুলো এখন বিস্তীর্ণ এলাকায় উদ্ধার কাজ গুটিয়ে আনছে। কারণ জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে।

জাতিসঙ্ঘ বলছে যে, গত সপ্তাহের মারাত্মক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটিতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আরও দুটি সীমান্ত পারাপার খুলতে রাজি হয়েছে সিরিয়ার সরকার।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘একটি বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আমরা এখন পর্যন্ত একটি সীমান্ত পারাপার ব্যবহার করছি।’

অনেক সিরিয় নাগরিক তাদের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে সহায়তা না পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার জন্য দেশটির ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সাহায্য গোষ্ঠীগুলো বলছে, আসাদ সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দেশের সব এলাকায় উদ্ধার কাজে সংযুক্ত না হওয়াটাই মূল প্রতিবন্ধকতা।

সোমবার দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আসাদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর জাতিসঙ্ঘ নতুন দুটি সীমান্ত পারাপার খুলে দেয়ার এই ঘোষণা দিয়েছে।

এগুলো হচ্ছে তুরস্কের সীমান্তের সাথে থাকা বাব আল-সালাম এবং আল রাই সীমান্ত পারাপার।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সীমান্ত পারাপার প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য খোলা থাকবে।

বিবিসি রেডিও ফোরের ওয়ার্ল্ড টুনাইট প্রোগ্রামকে গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা অন্য দুটি পারাপার ব্যবহার করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এটি ব্যবহার করতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত চুক্তিটি স্থায়ী হবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি ব্যবহার করা শুরু করব এবং আমি এটি ছাড়া আর কোনো কিছুই ভাবতে চাই না।’

দুজারিক আরো বলেন, ‘আমি শুধু অনুমান করতে চাই যে, মানুষ এই সংঘর্ষে যে পক্ষকেই সমর্থন করুক না কেন এখন তারা রাজনীতিকে সরিয়ে রাখবে।’

তবে কবে নাগাদ দুটি সীমান্ত পারাপার চালু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

তবে দুজারিক সিরিয়ার পারাপারগুলো খোলার অনুমতির জন্য বিলম্ব করার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি যে জাতিসঙ্ঘেন সাথে অধিভুক্ত নয় এমন অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলো এই সীমান্ত ক্রসিংগুলো আগে থেকেই ব্যবহার করছে। আমাদের নির্দিষ্ট পরিধির মধ্যে কাজ করতে হয়, এটি জাতিসঙ্ঘের বৈশিষ্ট্য।’

প্রেসিডেন্ট আসাদ এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

ভূমিকম্পের পর প্রথম কয়েক দিনে সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কিছু ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছেছিল।

মূলত রাশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকে এসব সহায়তা আসে।

কিন্তু সিরিয়ার বিধ্বস্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো কার্যত বিচ্ছিন্ন থেকে গেছে।

এর কারণ এই অংশগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য শুধুমাত্র তুরস্ক হয়ে যাওয়া একটি সীমান্ত পারাপার ব্যবহার করে পৌঁছাতে পারে। অথবা সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে সেগুলোকে পৌঁছাতে পারে।

সূত্র : বিবিসি


0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্ক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশের কাছে। সহায়তা হিসেবে দেশটি খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ চেয়েছে। তবে নগদ কোনো অর্থ সহায়তা নেবে না তারা। কারণ তাদের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই বাংলাদেশে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সহায়তা চাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের ১০টি প্রদেশে চলছে উদ্ধার অভিযান। মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাস।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সহায়তা চাই আমরা।’

বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তুর্কী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। এতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।’

রাষ্ট্রদূত তুরান আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তা সামগ্রী নিতে চাই। আমাদেরকে শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনো খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে। তবে টিকা অফিস কোনো নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না। কেননা এখানে তাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সে কারণে অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হবে।’

উল্লেখ্য, তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে- কাহরামানমারাস প্রদেশসহ দেশটিতে গত সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ১৩ হাজারের মতো নিহত এবং কমপক্ষে ৬৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে  ৯ হাজার মানুষকে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে ঠিক কত লোক আটকা পড়েছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। স্বাভাবিক কারণেই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িতরা।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা সাড়ে নয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার সর্বশেষ তথ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১০৮ জন। আর সিরিয়ায় দুই হাজার ৫৩০। মোট দুই দেশে নিহতের সংখ্যা নয় হাজার ৬১১ জন।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে সাত হাজার ১০৮ জন। আর আহত হয়েছে ৩৭ হাজার ১১ জন।

অপরদিকে সিরিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ২৮০ জন মারা গেছেন। আর সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ২৫০ জন। মোট দুই হাজার ৫৩০ জন।

হিমশীতল আবহাওয়া ও ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশকের মধ্যেই তুরস্ক এবং সিরিয়ার উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনে চাপা পড়া জীবিত লোকদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুর্যোগ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এএফপি’র খবরে বলা হয়, একটি বিস্তীর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের শহরগুলোতে কয়েক হাজার ভবন ধ্বসে সমতলে মিশে গেছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধ, বিদ্রোহ, উদ্বাস্তু সঙ্কট এবং সাম্প্রতিক কলেরা প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত এই অঞ্চলে আরো ভয়াবহ দুর্দশা নেমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে যে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুক’পে পরিণত এই এলাকায় দু’কোটি তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ডব্লিউএইচও’র সিনিয়র জরুরি কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মার্শাং জাতিসঙ্ঘ স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী কমিটিকে বলেছেন যে ভূমিকম্প এলাকার মানচিত্রে দেখা যায়, ওই এলাকায় দু’কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি, এদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার ভোররাতে প্রথম ৭.৮ মাত্রার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবনের বাসিন্দারা খালি হাতেই ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব এবং ভেতরে ঘুমন্ত অন্য কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। ওই সময়ে সীমান্তের ওপারের তুর্কি অংশে, হাতায়ে শহরের এক মর্মন্তুদ চিত্র ভেসে ওঠে প্রাপ্ত এক বর্ণনায়। এতে ধসে পড়া বিল্ডিংয়ের মধ্যে থেকে মুখ, চুল এবং পাজামায় ধুলোবালি মাখা সাত বছরের দিশাহারা এক কন্যা শিশু বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করেছে- ‘আমার মা কোথায় ?’

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস এবং গাজিয়েন্তেপের মধ্যবর্তী এলাকা। সেখানেই ঘটেছে সবচেয়ে প্রবল ধ্বংসযজ্ঞ। দুই মিলিয়ন লোকের একটি গোটা শহরেরই ধ্বংসস্তুপ এখন শুভ্র তুষারে ঢেকে আছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা অনুমান করেছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞে ২০,০০০ পর্যন্ত মারা যেতে পারে। আনুমানিক ২০ হাজার আহত লোকের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নয়া দিগন্ত

3 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কমপক্ষে চার হাজার ৯৪০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২০ হাজার ৪২৬ জন। কেবল তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৩৮১ জন। আর সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৫৫৯ জন দাঁড়িয়েছে।

দেশ দু’টির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের আরজিনক্যান ভূমিকম্পের পর ‌’সবচেয়ে বড় বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আগের ওই ভূমিকম্পে ৩৩ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।

দুটি দেশেই দুর্গত এলাকাজুড়ে এক বিশাল উদ্ধার অভিযান চলছে। সোমবার রাতেও উদ্ধারকাজ চলে। তবে গ্রাম ও শহরগুলোয় উদ্ধারকর্মীদের ধ্বংসস্তূপ অনুসন্ধানের সাথে সাথে এই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। হাজার হাজার মানুষ এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

তুরস্ক সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক আবেদন জানানোর পর বিশ্ব নেতারা সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সিরিয়ায় নিহতদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এই অঞ্চলটির সীমান্তের উভয় পাশে শিবিরগুলোতে লক্ষাধিক সিরীয় শরণার্থীর আবাসস্থল।

বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, সোমবার ভোররাতে গাজিয়ানটেপের কাছে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তখন সব মানুষ ঘুমে। স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা দেড়টায় সেখানে ৭.৫-মাত্রার নতুন এক কম্পন আঘাত হানে।

তবে কর্মকর্তারা বলেছিলেন, সেটা ‘আফটারশক নয়।’

ভূমিকম্পে দুটি দেশেই শত শত ভবন ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষকে বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তুরস্ক ও সিরিয়া ছাড়াও লেবানন, সাইপ্রাস এবং ইসরাইলজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এর কম্পন অনুভব করেন।

এরপর তুরস্কের একই অঞ্চলে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস শহরের কাছে।

দুর্গত এলাকা থেকে যেসব মর্মান্তিক ছবি পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বাসাবাড়ি ও সড়কে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের সন্ধানকারী উদ্ধারকারী দলগুলোকে মরীয়া হয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।

তুরস্কের ১০টি শহর ও প্রদেশের স্কুল এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি হাতায়, মারাশ এবং আন্তেপের বিমানবন্দরগুলো বন্ধ বা আংশিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

সিরিয়ায় কী হচ্ছে?
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল প্রতিবেশী তুরস্কে হলেও সিরিয়াতেও বহু শত মানুষ মারা গেছে। এই দুর্যোগের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও এবং ছবি উঠে আসছে।

আলেপ্পোর উত্তর-পশ্চিমে এক শহর থেকে পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ভবনগুলো ধসে পড়ার সাথে সাথে ধুলোর বিশাল মেঘের মধ্য দিয়ে বাসিন্দারা পালিয়ে যাচ্ছে, চিৎকার করছে।

ভূমিকম্পে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই সেখানে চিকিৎসা সেবা এবং জরুরি সরবরাহের সুযোগ সীমিত।

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করা একটি ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট জরুরি সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে।

এই জায়গায় কেন ভূমিকম্প?
তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত।

এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

সর্বশেষ ভূমিকম্পটি ঘটেছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমমুখী ‘পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্ট’-এর চারপাশে।

সিসমোলজিস্টরা দীর্ঘকাল ধরে বলে আসছেন যে এই ফল্টটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, যদিও গত ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কোনো উল্লেখযোগ্য কিছু হয়নি।

তবে অতীতে এই এলাকায় কিছু মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছে।

বিশেষ করে, ১৮৮২ সালের ১৩ অগাস্ট সেখানে ৭.৪-মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যা আজকের রেকর্ড করা ৭.৮-মাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

তা সত্ত্বেও, ১৯ শতকের ওই ভূমিকম্পে অনেক শহরের প্রচুর ক্ষতি হয়।

আলেপ্পো শহরে ৭,০০০ মানুষ মারা যায়।

শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের আফটারশক চলতে থাকে প্রায় এক বছর ধরে।

সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন ও অন্যান্য

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢকি: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে নিহতের সংখ্যা ৬৪০ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ২৫০০ জন। অপরদিকে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মারা গেছেন ২৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৫০ জন। আর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মারা গেছেন ১২০ জন। এ খবর দিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৯। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৮ কিলোমিটার। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণে সীমান্তের দুই পাশেই শত শত ভবন ভেঙে পড়েছে। নিহতের সংখ্যা দ্রুত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের পর সহমর্মিতা জানাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ফোন করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন, এই বিপর্যয়কর মুহূর্তে যে কোনো ধরণের সহযোগিতার জন্য রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সঙ্গে সঙ্গেই দুটি আইএল-৭৬ বিমানকে সিরিয়ায় পাঠিয়েছে মস্কো। এগুলো উদ্ধারকার্যে সিরিয়ার বাহিনীকে সাহায্য করবে। এছাড়া সিরিয়ায় শান্তিরক্ষায় নিয়োযিত রুশ সেনারা এরইমধ্যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলে জরুরি উদ্ধারকার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সোমবার সকালেই তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সিরিয়ার সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হচ্ছে আলেপ্পো, হামা এবং লাটাকিয়া প্রদেশ। উদ্ধার অভিযান ও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সিভিল ডিফেন্স, দমকল, স্বাস্থ্য, পাবলিক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং তাদের শাখাগুলোকে নিয়োযিত করেছে সিরিয়া সরকার। দেশের সকল প্রদেশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যথাসম্ভব পরিবহণ সরবরাহ করতে। সারা দেশ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা গৃহহীন হয়েছেন তাদেরকে দ্রুততার সঙ্গে আশ্রয় এবং খাদ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে।

তুরস্কে সবথেকে বেশি প্রাণহানী হয়েছে মালাতিয়া প্রদেশে। এছাড়া দিয়ারবাকির এবং ওসমানিয়ে প্রদেশেও বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্তের ওপাড়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। সেখানেও বহু ভবন ধ্বসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভেঙে পড়া বাড়িগুলোর নিচে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে। তুরস্কে একটি শপিংমল ধসে পড়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেই দীর্ঘ সময় ধরে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail