Home জাতীয়
Category:

জাতীয়

ঢাকা: রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে সিদ্দিক বাজার এলাকায় এক ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক লোক। আর এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান ও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার আগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট কাজ করছে। ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।

শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। যে ভবনে বিস্ফোরন হয়েছে সেটি ৫ তলা ভবন। নিচতলায় সেনেটারী দোকান এবং বাকি ৪টি ফ্লোর ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস। মানব জমিন

 

2 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তিনি এ আগুনঝরা ভাষণ দেন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের মনের অব্যক্ত কথা যেন বের হয়ে আসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি উচ্চারণে, প্রতিটি বর্ণে, শব্দে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি উচ্চারণ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে লাখো প্রাণে। গগনবিদারী আওয়াজ তুলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমর্থন জানায় উপস্থিত লাখো জনতা। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

৭ মার্চের আগের চার-পাঁচ দিনের ঘটনাবলিতে বিক্ষুব্ধ মানুষ ওই দিন নতুন কর্মসূচির অপেক্ষায় ছিল। সকাল থেকেই চার দিক থেকে মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে। লাখো মানুষের পদভারে ঢাকা পরিণত হয় উদ্বেলিত এক নগরে। অলিগলি হতে সকাল থেকে দলে দলে মানুষ রাজপথ কাঁপিয়ে রেসকোর্স ময়দানের দিকে আসতে লাগল। ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ- বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো- বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ প্রভৃতি স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে আসতে লাগল শোষিত বঞ্চিত জনতা। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রেসকোর্স ময়দান।

বঙ্গবন্ধু জনসভায় আসতে একটু বিলম্ব করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হবে-কি- হবে না এ নিয়ে তখনো রুদ্ধদ্বার বৈঠক এবং বিতর্ক চলছে নেতাদের মধ্যে। পরে বঙ্গবন্ধু ২২ মিনিট তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করেন এভাবে- ‘আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবাই জানেন এবং বোঝেন, আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়।… আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরিবের উপর, আমার বাংলার মানুষের বুকের উপর গুলি করা হয়েছে। কিভাবে আমার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। কি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।

আপনি আসুন, আপনি দেখুন।… ২৫ তারিখ এসেমব্লি ডেকেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। রক্তে পা দিয়ে শহীদের উপর পাড়া দিয়ে এসেমব্লি খোলা চলবে না। সামরিক আইন মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে…। ’

এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আগের কয়েক দিনের ঘটনাবলি, শাসক শ্রেণীর সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া এবং মুক্তির আকাক্সক্ষায় বাংলাদেশীদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘এরপর যদি একটি গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়- তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।… আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার না-ও পারি তোমরা সব বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব। সৈন্যরা, তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো তোমাদের কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু আর তোমরা গুলি করার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।… আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ! এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

এ দিন বঙ্গবন্ধুই ছিলেন একমাত্র বক্তা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আগে আ স ম আবদুর রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ নেতারা মঞ্চ থেকে মাইকে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে উপস্থিত জনতাকে উজ্জীবিত রাখেন।

আ’লীগের কর্মসূচি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত ৭ই মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এ দিন ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া বেলা ৩টায় রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

গতকাল এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নয়া দিগন্ত

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: কলকাতা থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। মাঝ আকাশে বিমানের পেছনের চাকার টায়ার ফেটে গেলে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ সোমবার সকালে বিমানের বিজি-৩৯২ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিমানটিতে ৭২ জন যাত্রী ছিলেন।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিমানটির পেছনের ডান পাশের টায়ার ফেটে গেলে এটি জরুরি অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন।’

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ভারতের স্থানীয় সময় ৮টা ৪৯ মিনিটে ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় বিমানটি। পৌনে ১০টার দিকে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। পরে সকাল ১০টায় এটি নিরাপদে অবতরণ করে।

এদিকে অবতরণের সময় যে কোনো বড় দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উপস্থিত ছিল। ফ্লাইটটি কানাডা থেকে আমদানি করা ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। আমাদের সময়

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: হালনাগাদের পর সারা দেশে মোট চূড়ান্ত ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, ২০২২ সালের ২ মার্চ ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন।
২০২২ সালে হালনাগাদে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন। আর মৃত ভোটার কাটা হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ভোটার দাঁড়াল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। এবার ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন।
ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে সিইসি, অন্য কমিশনারসহ ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। যা নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে শুরু করে পিএসপি মোড়, বিএনপি বাজার মোড় হয়ে নির্বাচন ভবনে এসে শেষ হয়।
গত বছরের (২০২২) ২০ মে থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এ ক্ষেত্রে দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় ছিল ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো বৃহস্পতিবার। ইনকিলাব

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: আজ বুধবার থেকে নতুন নিয়মে কাটতে হবে ট্রেনের টিকিট। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধনের পর যাত্রীরা কাটতে পারবেন টিকিট। বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট কাটতে হবে। আজ ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ট্রেনের টিকেট বিক্রির নতুন পদ্ধতি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এসময় তিনি নতুন নিয়মে টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নতুন এ পদ্ধতি চালু হওয়ায় রেলের টিকেট কাটতে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর তা নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকেট কিনতে হবে। একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকেট কেটে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, শুরুতে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে এই প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে সকল লোকাল ট্রেনেও এ সেবা চালু করা হবে।

তিনি বলেন, আগে একটি টিকেট থাকলেই ভ্রমণ করা যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে টিকেট থাকলেই ট্রেনে চড়া যাবে না। যার টিকেট তাকে ভ্রমণ করতে হবে। অন্যের নামে কাটা টিকিটে ভ্রমণ করা যাবে না।  যদি কেউ অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করে তবে সেটি বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। একইসাথে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে সেই যাত্রীকে জরিমানা দিতে হবে।

এই ব্যবস্থা চালু করায় টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, টিকেট কালোবাজারি যাতে হতে না পারে, সেক্ষেত্রে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকেই টিকেট কিনে বেশি দামে বিক্রি করত। এখন যেহেতু যার টিকেট তাকেই ভ্রমণ করতে হবে, সেহেতু কালোবাজারির সুযোগ থাকবে না।

ট্রেনে ভ্রমণ করা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে স্টেশনগুলোতে ব্যবস্থা করার কথও বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে। এটিকে ঘিরে দালালচক্র গড়ে ওঠার সুযোগ নেই। এখন থেকে টিকেট কেটে যাত্রা বাতিল করতে চাইলে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়েই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে জানান সুজন। তিনি বলেন, আগে টিকেট কাটার পর যাত্রা বাতিল করতে এবং টাকা ফেরত পেতে রেলওয়ের অফিসে যাওয়া লাগত। কিন্তু নতুন নিয়মে যাত্রীরা ঘরে বসেই টাকা ফেরত পাবেন। আর নতুন এ ব্যবস্থায় নাগরিক তথ্যও সুরক্ষিত থাকবে বলে মন্ত্রী আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সার্ভারের সাথে আমাদের রেলওয়ের সার্ভারের যোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং, সকল যাত্রীর নাগরিক তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। একটি নতুন জিনিস বাস্তবায়ন করতে গেলে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে, কিন্তু থেমে গেলে হবে না।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী স্টেশনের টিকেট কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি টিকেটপ্রত্যাশীদের কাছে নতুন প্রক্রিয়াটি কেমন হলো তা জানতে চান, নিজেও জানান।

নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে, আশা মন্ত্রীর

এসময় কেউ কেউ নতুন উদ্যোগের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ নেটওয়ার্ক না পাওয়া ও সার্ভার জটিলতার কথা মন্ত্রীকে জানান। কেউ কেউ অভিযোগ করেন রেলের সেবা ও কর্মীদের যাত্রীদের সাথে আচরণ নিয়ে।

যেভাবে করবেন নিবন্ধন

১. পুরনো নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে: বর্তমান username এবং Password দিয়ে https://etiket,railway.gov.bd-এ প্রবেশ করে BR <space> NID নম্বর <space> ticket.railway.gov.bd তে অথবা rail sheba app-এ সাইন-ইন করতে হবে।

NID নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে verify বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর NID নম্বর জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করালে যদি NID নম্বরটি পূর্বে ব্যবহার করা না হয়ে থাকে তা হলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

২. নতুন নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে: https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা rail sheba app-এ সাইনআপ করতে হবে এবং সঠিক NID নম্বর জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
নিয়মাবলী

৩.  ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা বাবা অথবা মায়ের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করা রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টিকেট কাটতে পারবে। এক্ষেত্রে টিকেটের উপরে লেখা নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাই করতে ভ্রমণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে ওই শিশুকে জন্মনিবন্ধন সনদের অনুলিপি সঙ্গে রাখতে হবে।

৪.  তবে এই বয়সীরা জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেই টিকেট কাটতে পারবে।

৫.  বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ও পাসপোর্টের ছবি আপলোডের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে।

৬. ভ্রমণকালে সব ধরনের যাত্রীকে অবশ্যই নিজের এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের অনুলিপি বা অথবা পাসপোর্ট/ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

৭. নিবন্ধিত এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কাটতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভ্রমণকালে কেবল টিকেট কাটা ব্যক্তির পরিচয়পত্র থাকলেই চলবে।

৮. পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকেটের উপর মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানব জমিন

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: বাংলাদেশের নাগরিকত্বের পাশাপাশি আরও ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন বাংলাদেশিরা। বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে এসআরও (স্টেটরি রেগুলেটরি অর্ডার) জারির প্রস্তাবে মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সচিব জানান, বাংলাদেশিরা ইউরোপসহ ৫৭টি দেশের নাগরিক হতে পারতেন। এখন আরও ৪৪টি নতুন দেশ যুক্ত হয়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশিরা নিজ দেশের পাশাপাশি মোট ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন।

নতুন ৪৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে– আফ্রিকা মহাদেশের ১৯টি দেশ, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ১২টি দেশ, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১২টি দেশ ও ওশেনিয়া মহাদেশের একটি দেশ। দেশগুলো হলো- মিসর, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মরক্কো, ঘানা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তিউনিসিয়া, সিয়েরা লিয়ন, লিবিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, গাম্বিয়া, বতসোয়ানা, মরিশাস, ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডর, চিলি, উরুগুয়ে, গায়ানা, কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বাহামা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ডমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস, ফিজি।

এছাড়া সচিব আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে ১১৩৫ জন সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে কাতার। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলা ট্রিবিউন

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিদ্যমান সীমানা হুবহু ঠিক রেখেই ৩০০ নির্বাচনি আসনের সীমানা পুন:নির্ধারনে খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে।

বহুল আলোচিত-সমালোচিত কে এম নূরুল হুদা কমিশন বিগত ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় আসনের সীমানা প্রকাশ করেছিল। সেটিকেই পুন:নির্ধারিত সীমানা আখ্যা দিয়ে এ খসড়া প্রকাশ করলো বর্তমান কমিশন। এতে নতুন সৃষ্ট হওয়া উপজেলা ও ওয়ার্ড অন্তর্ভূক্তির কারনে সাতটি আসনের সীমানায় নামগত পরিবর্তন এসেছে। তবে বাস্তব সীমানায় কোনো রদবদল আসেনি।

খসড়া এ সীমানা নিয়ে কারও দাবি বা আপত্তি থাকলে তা আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এ খসড়া সীমানা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

যে সাতটি আসনে নামগত পরিবর্তন এসেছে সেগুলো হলো- মাদারীপুর-৩, ময়মনসিংহ-৪, সুনামগঞ্জ-১ ও ৩, সিলেট-১ ও ৩ এবং কক্সবাজার-৩।

ইসি সূত্র জানায়, আইনে আদমশুমারির পর জনসংখ্যার যতটা সম্ভব বাস্তব বন্টনের ভিত্তিতে সীমানা পুন:নির্ধারণের কথা বলা হলেও তা মানা হয়নি। এবারের জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, দেশের অন্তত ৭৫টি সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট জেলার গড় জনসংখ্যার চেয়ে ২৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ আসনে জনসংখ্যার ব্যবধান ৫১-৮৮ শতাংশ।

‘বিতর্ক’ এড়াতে জনসংখ্যার এত বড় ব্যবধান রেখেই এ খসড়া প্রকাশ করা হলো। অর্থাৎ জনশুমারির এ প্রতিবেদনকে আমলে নেয়নি ইসি। এছাড়া ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছিল তৎকালীন কমিশন।

পরবর্তীতে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনে। ওই সীমানা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছিল। সেই সীমানাকেই মূলভিত্তি ধরেছে বর্তমান কমিশন। এছাড়া আইনে ইসিকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া থাকলেও তা করা হয়নি।

তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, খসড়া প্রকাশের পর অংশীজনের দাবি-আপত্তি বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক ক্ষেত্রে সীমানা পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি তারা বিবেচনা করবে।

খসড়া সীমানা নির্ধারণে ইসি পাঁচটি কার্যপদ্ধতির কথা জানিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা; প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা রাখা; নতুন সৃষ্ট, সম্প্রসারিত ও বিলুপ্ত প্রশাসনিক এলাকা অন্তর্ভূক্ত করা এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনা করা। এ কারণে সাতটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে।

সেগুলোর মধ্যে কালকিনি উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসনের সঙ্গে ডাসার উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। কালকিনি উপজেলা বিভক্ত করে সরকার কালকিনি ও ডাসার উপজেলা করেছে। ময়মনসিংহ-৪ আসনে ময়মনসিংহ সদর আসনের সাথে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন যুক্ত করা হয়েছে।

ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে নতুন সৃষ্ট মধ্যনগর উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে।  জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ আসনের দক্ষিণ সুরমার নাম পরিবর্তন করে সরকার শান্তিগঞ্জ উপজেলা করায় ওই নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন ও সিলেট সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসনের সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন এর তিনটি ইউপির আংশিক সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় এ আসনে পরিবর্তন হয়েছে।

এক্ষেত্রে খসড়ায় সিলেট-১ আসনে সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ২৭ নম্বর  এবং ৩১ থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয়েছে। একই কারণে সিলেট-২ আসনে পরিবর্তন হয়ে সিটি করপোরেশনের ২৮ থেকে ৩০ ও ৪০ থেকে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে। কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা আসন নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৩ আসনের সদর উপজেলা ভেঙ্গে ঈদগাঁও নামে নতুন আরেকটি উপজেলায় করায় এই নামটিও যুক্ত হয়েছে ইসির খসড়া সীমনায়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে যে বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, একটি প্রশ্ন ওঠেছে যে প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কর্মবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। এটা আছে। এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকেই বলতে চেয়েছেন রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ। আমি সিইসি এবং নির্বাচনি কর্তা হিসেবে ওই আইনটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলাম। কারণ পরীক্ষা করার সময় যেটাকে মনোনয়নপত্র বাছাই বলে, সেটা কিন্তু দায়সারা দায়িত্ব নয়। প্রার্থী যাই বলুক না কেন সিইসিকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে কোনোরুপ সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা আছে কিনা।

আমরা দেখলাম স্পষ্টত কোনো আইনগত অযোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, দুদক আইনের ৯ ধারায় বলেছে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগলাভে যোগ্য হবেন না। আমরা কিন্তু এখান থেকে কোনো নিয়োগদান করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগদান করেননি। প্রধান বিচারপতিও নিয়োগদান করেননি। কেউ নিয়োগদান করেননি এবং কেউ নিয়োগদান করতে পারেন না। উনি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা উনাকে নির্বাচিত করেছি প্রচলিত প্রথা অনুসারে এবং নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য এটা বুঝতে হবে। তাকে যদি এখান থেকে নিয়োগ দেয়া হতো তাহলে অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব আমাদের নেই। কারোরই নেই। যেমন আমাদের জাতীয় সংসদের সদস্যগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন না। তারা নির্বাচিত হন, সেটাই তাদের নিয়োগের সমতুল্য।

তিনি আরো বলেন, এই বিষয়টি কিন্তু ১৯৯৬ সালে একটি মামলা হয়েছিল যখন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অফিস গ্রহণের পূর্বেই জনাব আবু বকর সিদ্দিক ভার্সেস অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন মামলা হয়েছিল। সেই রিট মামলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মামলায় যে অপারেটিভ পোর্শন সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে সাহাবুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ বৈধ। এতে কোনো অবৈধ্যতা হয়নি। আলোচনায় তিনি (আদালত) বলেছেন এই পদটি অফিস অব প্রোফিট হলেও তিনি প্রজতন্ত্রের কর্মচারি নন। সেখানে কোন পদগুলো লাভজনক এবং কোন পদগুলো সাংবিধানিক পদ, সেগুলো আলাদা করে দেখানো হয়েছিল।

আমরা সেই প্রশ্নে না গিয়ে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চুড়ান্ত একটি রায় বলে দিয়েছে যে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ঠিক তেমনি অবসরপ্রাপ্ত কমিশানের নিয়ম। তাই রাষ্ট্রপতি পদে অনুরুপভাবেই (সাবেক দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন) অবৈধ নয়। সেই দিক থেকে এই প্রশ্নে বিভ্রান্তির সৃষ্টি বিভিন্ন ধরণের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি অনাবশ্যক বা সমীচিন হবে না বলে আমি মনে করি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাকে দেখতে হবে আইনের কোথায় কী বলেছে। এটা হচ্ছে সংবিধিবদ্ধ একটি অযোগ্যতা যে কর্মাবসানের পদে তিনি কোনো পদে নিয়োগলাভ করবেন না। নির্বাচন ও নিয়োগ এক জিনিস নয়। একটি মানুষ যখন নির্বাচিত হন তার চরিত্র একটি আর যখন নিয়োগপ্রাপ্ত হন তখন চরিত্র আরেকটি। উনি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে, আর প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। যেহেতু একজন মাত্র প্রার্থী ছিলেন এবং দু’টো মনোনয়নপত্র ছিল। আমি নির্বাচনি কর্তা হিসেবে বিবেচনা করেছি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং এর বাইরেও প্রচলিত যে আইন কানুন সংবিধানের ৬৬ ও ১৪৭ অনুচ্ছেদ এবং সেই রায় বিবেচনায় করে দেখেছি এই পদে তার নির্বাচনে কোনো ধরণের অযোগ্যতা নেই। কাজেই সেই জিনিসটা আমি আপনাদের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করতে চাচ্ছি যে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে যদি কোনো ধরণের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, সেটা হবে অনাকাঙ্খিত।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট পদে মো: সাহাবুদ্দিন এর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। মানব জমিন

সিইসি বলেন, আমরা মনোনয়নপত্র বাছাই করেছি। একটি মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় গ্রহণ করেছি। তাই বাকিটা দেখার প্রয়োজন পড়েনি। আজকেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান সিইসি। রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩শে এপ্রিল শেষ হবে।
এদিকে গতকাল সকালে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সাবেক বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম প্রস্তাব করে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রোববার সকালে গণভবনে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সংসদীয় দল (এএলপিপি)-র গত ৭ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতির জন্য মনোনীত প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেয় এবং তিনি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বাছাই করেন।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন  আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল । আজ বুধবার  নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, দেশের ২২তম  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ ১২ই ফেব্রুয়ারি। ১৩ই ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হবে।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি পদ মূলত আলংকারিক। শুধু প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার কাজটি ছাড়া বাকি সব দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। তবে নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রপতি কিছুটা গুরুত্ব পান। কারণ তিনি নির্বাচন কমিশনের উপযোগিতার সঙ্গে কাজ করা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিতে পারেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী অনুযায়ী, ‘সরকারের সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কমিশনকে উহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করিবে এবং এই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি, কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ নির্দেশাবলী জারি করিতে পারিবেন।’

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail