শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলে কীভাবে রোজা রাখেন মুসলমারা

পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনেকটা অংশজুড়েই গ্রীষ্মকালের একটা নির্দিষ্ট সময় আক্ষরিক অর্থেই সূর্য ডুবতে দেখা যায় না। তেমনিভাবে শীতকালেরও একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে সূর্য উঠতে দেখা যায় না। গ্রীষ্মকালের এই সময়টাকে ‘মেরু দিন’ এবং শীতকালের এই সময়টাকে ‘মেরু রাত্রি’ বলা হয়ে থাকে।

স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলের দেশ নরওয়ে ‘নিশিথ সূর্যের দেশ’ বা ‘মধ্যরাতের সূর্যের দেশ’ নামে পরিচিতি।

ভিন্নতর ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে উত্তর গোলার্ধের এই দেশটিতে গ্রীষ্মকালে রাতেও সূর্যের আলো দেখা যায়। নরওয়ের সবচেয়ে উত্তরের লঙ্গিয়ারবিয়েনে অঞ্চলে ২০ এপ্রিল থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত সূর্য ডোবে না। সেখানে ২০ ঘণ্টা সূর্যের আলো খুব বেশি থাকে, আর ৪ ঘণ্টা সূর্যের আলোর প্রভাব কিছুটা কম থাকে।

রওয়ের মতো স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলের দেশ গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের কিছু কিছু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সূর্য ডোবে না। সেসব দেশের মুসলিমরাও যথারীতি পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করে থাকেন। সাহ্‌রি ও ইফতার করেন।

নরওয়েতে রোজা রাখেন কীভাবে

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, নরওয়েসহ এমন দেশগুলোর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়, সেই দেশের সাহ্‌রি ও ইফতারের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করে থাকেন। অনেকেই আবার সৌদি আরবের মক্কা নগরের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। তারপরও এসব অঞ্চলের মুসলমানদের সাধারণত ১৭ ঘণ্টা রোজা করতে হয়।

তবে উত্তর গোলার্ধে বসবাসরত মুসলমানদের দিনের রোজার সময় কিছুটা কম হবে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই সময় কমতে থাকবে। কারণ, এই অঞ্চলে পবিত্র রমজান শীত মৌসুমে হচ্ছে। এ সময় দিন সাধারণত ছোট থাকে। ২০৩১ সালের পর আবার রোজার সময়কাল বাড়তে থাকবে।

দক্ষিণ গোলার্ধের অ্যান্টারটিকা অঞ্চলে কোনো মানুষের বসবাস নেই। তবে এই গোলার্ধের চিলি বা নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের মুসলমানদের দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা করতে হয়। প্রথম আলো

আরো পড়ুন ...