বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রযুক্তি হুমকিতে ফেলতে যাচ্ছে যে সাতটি পেশাকে

আপনার কাজ কি কিছুটা একঘেয়ে ও নিরস ধরনের? হলেও এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বেছে নেয় নানা ধরনের পেশা এবং কাজ করতে করতে কোনোটি হয়ে যায় রুটিন বা একঘেয়ে। আর এ ধরনের রুটিন বা সহজে অনুধাবনযোগ্য কাজগুলো আগামী পাঁচ বা ১০ বছরের মধ্যে হয়ে যাবে অনেকটা অঙ্কের নিয়মে।
লেখক জন পুগলিয়ানো বলছেন এটি আর কোথাও না হলেও উন্নত দেশগুলোতে হবে। অর্থাৎ মানুষকে আর হাতে-কলমে এ ধরনের কাজগুলো করতে হবে না। গবেষণা করে তিনি চিহ্নিত করেছেন এমন কয়েকটি পেশা যেগুলো তার মতে রীতিমতো হুমকির মুখে আছে। যদিও এ মুহূর্তে এসব পেশাকে নিরাপদই মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি মুণ্ডু ও বিবিসি স্প্যানিশ সার্ভিসকে তিনি বলেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা কখনোই হারিয়ে যাবেন না। কিন্তু শ্রম খাতের একটি বড় অংশই আর থাকবে না।
মিস্টার পুগলিয়ানোর মতে, প্রযুক্তির কারণে ক্ষতির মুখে পড়বে এমন সাতটি পেশা হলো :
চিকিৎসক : এটা ঠিক যে চিকিৎসকদের চাহিদা সবসময় থাকবে। এমনকি বিশ্বে বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতার মধ্যেও। কিন্তু পুগলিয়ানো বিশ্বাস করেন এ খাতে কিছু জায়গায় লোকবল হুমকির মুখে পড়বে প্রযুক্তির কারণে। কারণ রোগ চিহ্নিতকরণে প্রযুক্তির দাপট বাড়বে সামনের দিনগুলোতে।
আইনজীবী : পুগলিয়ানোর মতে ডকুমেন্ট প্রসেসিং কিংবা নিয়মিত কাজের জন্য ভবিষ্যতে দরকার হবে অল্প আইনজীবী বা সলিসিটরের। বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের খুব বেশি দরকার হবে না কম্পিউটার সফটওয়্যারের কারণে।
স্থপতি : ভবনের নকশা তৈরির কাজে এখনি সফটওয়্যার নিজেই সক্ষম হয়ে উঠেছে। আর ভবিষ্যতে এটি আরো জোরদার হবে। একমাত্র সৃষ্টিশীল স্থপতিরা হয়তো তখন কিছু করে খেতে পারবেন।
হিসাবরক্ষক : ট্যাক্সের জটিল সব হিসাব-নিকাশের জন্য আর হিসাবরক্ষকের দরকার হবে না। কেনই বা দরকার হবে? চাহিদাই তো কমে যাবে। কারণ কাজগুলো তো করবে কম্পিউটার আর সফটওয়্যার।
যুদ্ধবিমানের পাইলট : এখনি বড় যুদ্ধগুলোর খবরে প্রতিদিনই শোনা যায় পাইলটবিহীন যুদ্ধবিমানের নানা তৎপরতার খবর। ড্রোন এখন সবার কাছেই সুপরিচিত। ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক লড়াইয়ে পাইলটবিহীন বিমান হরহামেশাই ব্যবহার হচ্ছে। যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে এটি আরো বিস্তৃত হবে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা : নিয়মিত নজরদারি বা তদন্তের জন্য এখনি পুলিশ সদস্যের বদলে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে আধুনিক প্রযুক্তিগত পদ্ধতি। যদিও পুলিশ বা গোয়েন্দা একেবারেই বিলুপ্ত হবে না, তবে তাদের চাহিদা দিন দিন কমতেই থাকে। কারণ তাদের কাজ করে দেবে যন্ত্র।
রিয়েল এস্টেট এজেন্ট : খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে এখনি বড় ভূমিকা পালন করছে ওয়েবসাইট। এর মাধ্যমেই এখন সংযুক্ত হচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা। তাহলে এজেন্ট বা প্রতিনিধি লাগবে কেন। ভবন বা ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়ে এজেন্ট এখন আর খুব কার্যকর কিছু নয়। সামনে এটি হারিয়েই যাবে বলে মনে করছেন পুগলিয়ানো।

আরো পড়ুন ...