শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, পর্যটন নগরী কুয়াকাটাকে আতংকের নগরীতে পরিণত করেছিল আওয়ামী সরকার। কুয়াকাটায় একজন পর্যটক হিসেবে ভ্রমণেও আমাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ে আসতে দেওয়া হয়নি। বিগত সাড়ে পনের বছরে রাজনৈতিক বিরোধী মতাদর্শের ব্যক্তিদের আল্লাহর দেওয়া নেওয়ামত দেখতে কুয়াকাটার মত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। দেশে কুয়াকাটার মত জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের সবকিছু দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে। আলেম ওলামাগণ এই কুয়াকাটায় কোনো ব্যানার ছাড়া প্রোগ্রাম করতে এসেও কয়েকবার গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছে। এই কুয়াকাটায় আওয়ামী পুলিশ সে সময়ে আলেম ওলামাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল। দেশবাসী দেখেছে শেখ হাসিনার স্বাদ জেগেছিল বাংলাদেশে থেকে অন্য দেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। সেই আশা ছাত্র জনতা গত ৫ আগস্ট রক্ত দিয়ে শেষ করে দিয়েছে। ছাত্র জনতা জানিয়ে দিয়েছে দেশ চলবে মেধা ও যোগ্যতার সমন্বয়ে। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই আন্দোলনে অসংখ্য ব্যক্তি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, চোখ হারিয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছে। এখন এই দেশকে আমরা গড়তে চাই। এই পর্যটন কেন্দ্রকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী হিসেবে আমরা গড়তে চাই।
গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কলাপাড়া উপজেলা দক্ষিণ জোন (মহিপুর থানা) কুয়াকাট শাখার কর্মী সম্মেলনে ২০২৪ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কুয়াকাট পৌর আমীর মাওলানা মঈনুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আ সালাম খান ও অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল্লাহ, কলাপাড়া উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল কাইউম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চাঁদাবাজির দিন শেষ, সম্ভাবনার বাংলাদেশ, দখলবাজের দিন শেষ, সম্ভাবনার বাংলাদেশ। জামায়াত ইসলামীর কোনো নেতার বিরুদ্ধে কোনো সরকার এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। সৎ মানুষরাই জামায়াত ইসলামের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে দুর্নীতির স¤্রাজ্যে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে জামাত ক্ষমতায় এলে সংখ্যালগুদের এ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। জামায়াতে ইসলামের কাছে সবাই নিরাপদ থাকবে। কারণ ইসলাম কখনো সহিংসতা সমর্থন করে না। ইতিমধ্যে তার প্রমাণ আমরা দিয়েছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি