রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অনুমতি না থাকার পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সকাল ১১টার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছোড়া হয় রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস। বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ সময় আহত হন পুলিশসহ বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী।
পুরান ঢাকার ধোলাইখালের হাজি মনসুর মার্কেটের সামনে বিএনপি নেতাকর্মী এবং পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছোড়া হয় রাবার বুলেট। সকাল ১১টার পর থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। চলে আধাঘণ্টা ধরে।
দফায় দফায় টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। জল কামান, রায়ট কারসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। তাদের প্রতিহত করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড এবং আব্দুল্লাহপুর এলাকায়ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস।
যাত্রাবাড়ীর চিটাগাং রোড এলাকায় সকাল ১১টার পর থেকে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তাদের হটিয়ে দিতে গেলে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।
আটক বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, কোনও ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস করতে আসিনি, একটি দাবি নিয়ে এসেছি। অধিকার আন্দোলনের দাবি নিয়ে আমরা নেমেছি।’ বাংলা ট্রিবিউন