বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ডয়েচে ভেলেতে সাক্ষাৎকার দেয়া নাফিজ গ্রেফতার- মাদক মামলায় কারাগারে

ডয়েচে ভেলের র‌্যাবকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রে সাক্ষাৎকার দেয়া যুবক নাফিজ মোহাম্মদ আলমকে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি পুরাতন ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভাটারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, একটি পুরনো ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, নাফিজের বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। গত রোববার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হলে রিমান্ড আবেদন না করায় কারা হেফাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের সময় নাফিজের বাসা থেকে বিদেশি মদের বোতল, মদের খালি বোতল এবং পুলিশের স্টিকারযুক্ত একটি মোটরবাইক জব্দ করা হয়েছে। এদিকে ওয়ারেন্ট থাকলে তাকে আগে কেন  গ্রেপ্তার করা হয়নি এই প্রশ্ন করেছেন অনেকে। 

গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই শামীম হোসেন নাফিজকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই। 

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান নাফিজের জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হয়রানি করতে নাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার হয়নি। জামিন দিলে পলাতক হবে না। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রণপ কুমার এ তথ্য জানান। এর আগে পুলিশ জানায়, রোববার রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার একটি বাসা থেকে নাফিজ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৬টি বিদেশি মদের বোতল, ৩২টি কলার ক্যান উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি ল্যাপটপ, আইফোন, মোটরসাইকেল ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনায় এসআই রিয়াদ আহমেদ ভাটারা থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ মানবজমিনকে বলেন, তাকে পুরনো একটি ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানব জমিন

আরো পড়ুন ...