শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেয়া পোস্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, তীব্র প্রতিবাদ করছি। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। ভারত ছিল এই বিজয়ের মিত্র। এর বেশি কিছু নয়। এর আগে সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিজয় দিবসে আমরা ১৯৭১ সালে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে’ অবদান রাখা সাহসী সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে। অর্থাৎ, পোস্টে সুকৌশলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, বিজয় দিবসটা যে দেশের, সেই বাংলাদেশের নামই এড়িয়ে গেছেন তিনি।
ওদিকে মোদির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মোদির টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মোদি দাবি করেছে, এটি শুধু ভারতের যুদ্ধ এবং তাদের অর্জন। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অস্তিত্বই উপেক্ষিত।
যখন এই স্বাধীনতাকে ভারত নিজেদের অর্জন হিসেবে দাবি করে, তখন আমি একে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখি।
ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতেই হবে।’