রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরবিদায় জানানো হয়েছে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। তিন দফা জানাজা শেষে তাকে চাঁদপুরে দাফন করা হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার জানাজা প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়। জানাজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশীদ আলম, সাংবাদিক নেতা ও কবি আবদুল হাই সিকদার, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসসের সাবেক এমডি আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও মোল্লা জালাল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও মুরসালিন নোমানী, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, রুহুল আমিন গাজী দেশে সাংবাদিকতার অঙ্গনে একজন সুপরিচিত ব্যক্তি। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন বাংলাদেশ গড়তে গাজীর মতো নেতার প্রয়োজন ছিল। সাংবাদিক সমাজকে গাজীর পদাঙ্ক অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’তে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নিজ জেলা চাঁদপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। রুহুল আমিন গাজী কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। বিশিষ্ট এ সাংবাদিক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন, যার ফলে তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। রুহুল আমিন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী কফিল উদ্দিন এবং মা আয়েশা খাতুন। তিনি চতুর্থ মেয়াদে বিএফইউজে’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে প্রবীণ এ সাংবাদিক বিএফইউজে মহাসচিব, ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।