বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
লেবাননে যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে হিজবুল্লাহর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গাজা যুদ্ধ, লেবাননে নতুন করে যুদ্ধ এবং হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করার খবরে উত্তেজনা চরমে মধ্যপ্রাচ্যে। এরই মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কোনো এক গোপন স্থানে নিরাপদে রাখা হয়েছে তাকে। তেহরান থেকে তথ্য জানানো হয়েছে এমন দু’জন আঞ্চলিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে রিপোর্টে। এর আগে এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইরানের একটি বিমান লেবানন বা সিরিয়ার উদ্দেশে উড়েছিল। কিন্তু তারা জানতে পারে লেবাননের বিমানবন্দর ইসরাইলি সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এটা জানার পরই ইরাকের আকাশসীমা থেকে বিমানটি ইরানে ফিরে গেছে। উল্লেখ্য, এমনিতেই গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তীব্র। তার ওপর লেবাননে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল তাতে যেকোনো সময় যুদ্ধ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে জাতিসংঘে শুক্রবার বিশ্বনেতারা যখন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তখন লেবাননের মাটি বোমার আঘাতে জ্বলছে। রাতের লেবানন আলোকিত হয়ে উঠছিল বোমার আঘাতে।
ওদিকে বিবিসি বলছে, নিজের অফিসিয়াল পেজে আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দেয়া বিবৃতিতে তিনি হাসান নাসরাল্লাহর নাম মোটেও উল্লেখ করেননি। তবে ‘লেবাননের প্রতিরোধহীন জনতা’কে হত্যা করার জন্য প্রথমেই তিনি নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এতে ইসরাইলি নেতাদের অদূরদর্শিতা ও মূর্খতার নীতি প্রমাণিত হয়েছে। ইসরাইলের ক্রিমিনালদের অবশ্যই জানতে হবে যে, লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তঘাঁটিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার জন্য তারা খুবই ছোট। হিজবুল্লাহকে আঞ্চলিক সব প্রতিরোধ বাহিনী সমর্থন করে এবং তাদের পাশে আছে। তিনি লেবাননের জনগণ এবং হিজবুল্লাহর পাশে দাঁড়াতে সব মুসলিমের প্রতি আহ্বান জানান। নিষ্পেষণকারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদেরকে সমর্থন দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।