বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের আট জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যা আরও বিস্তৃত হতে পারে। এরইমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণকাজের জন্য নগদ ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, ১৫ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেনা ও নৌবাহিনীর দল ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আলী রেজা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ কারণে ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সভায় জানানো হয়, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণকাজ চলমান রয়েছে। বন্যা আক্রান্ত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে সেনা ও নৌবাহিনীর টিম ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ফেনী জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।