শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অতীতের মত সরকারের কলাকৌশল আর তালবাহানার নির্বাচন জাতি আর দেখতে চায় না। সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে ততই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না। বিদ্যুত বিল জনগণ পরিশোধ করলেও সরকার নাকি টাকার অভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছু না। জাতির মুক্তির জন্য খেলাফত মজলিসের ৮ দফা মানতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচন নীতি বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজয় নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ড.আহমদ আবদুল কাদের। ঢাকা মহনগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও উত্তর সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল আজিজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো. জিল্লুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী, শ্রমিক মজলিসের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, এনামুল হক হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, সেলিম হোসাইন, মুজিবুল হক, মনসুরুল আলম মনসুর, জিয়া উদ্দিন আকাশ, এবিএম শহিদুল ইসলাম, হাফেজ সালমান আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, সরকার মানুষকে ১০ টাকার চাল খাওয়াবে ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবে বললেও দিতে পারে নাই। অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইন
পৌছালেও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। সরকার জনদুর্ভোগের কথা স্বীকারই করছে না। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অবিলম্বে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে। সমাবেশের পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে সমাপ্ত হয়।