বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, নেই সুখবর

ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরম আর লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই তাপপ্রবাহ আরও ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরম।

সোমবার (৫ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হওয়ায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে ভ্যাপসা গরম আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা টেকনাফ উপকূলে পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। এই সময়ে তাপপ্রবাহের সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও। তবে কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে গরম কমবে।

আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড. তৌহিদা রশিদ বলেন, গত ১০ মাসে সারা পৃথিবীর তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। চলতি বছর ১ দশমিক ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। কাজেই এবারের তাপপ্রবাহের পেছনে যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরের (পেরুর কাছের অংশে) পৃষ্ঠের তাপমাত্রার ওপর সারা পৃথিবীর আবহাওয়া নির্ভর করে। সেখানে তাপমাত্রা বেশি থাকলে আমরা তাকে এল নিনো বলি। আর তাপমাত্রা কম থাকলে বলা হয় লা নিনা। আমরা এখন এল নিনো ফেজে ঢুকছি। আগামী জুন-জুলাই মাসে পুরোপুরি এই ফেজে ঢুকে যাব। এই অবস্থা কখনও তিন বছর, কখনও পাঁচ বছর কখনও আবার সাত বছর স্থায়ী হয়। অর্থাৎ ওইদিকে ঠান্ডা বেশি থাকলে এশিয়ার এই দিকে গরম বেশি থাকে।

চলতি মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত ৪ জুন দিনাজপুরে, ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আরটিভি নিউজ

আরো পড়ুন ...