বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই বাজারে সবজি, মুরগি, গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। দেশি ও ফার্মের মুরগির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশি। ৫০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই।
ক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে আলোচনা হয়, তাই এবার বিক্রেতারা রমজানের আগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে খুচরা সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তাঁদের বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে। অবশ্য পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, শিলাবৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় খেতের সবজি নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর, কল্যাণপুর নতুন বাজার এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে ও পটোল ছাড়া অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই। বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কচুর লতি, করলা, গোল বেগুন, চিচিঙ্গা, শজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। পটোল, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। শিম, লম্বা বেগুনের কেজি ৬০ টাকা।
মিরপুর ১ নম্বর বাজারে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ বলেন, কয়েক দিন ধরে সবজির দাম বেশি। হঠাৎ কেন দাম বাড়ল, সেটার কোনো ব্যাখ্যা বিক্রেতারা দেন না। ক্রেতারা নিরুপায় হয়ে কিনছেন।
গতকাল বাজারগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে। আর খাসির মাংসের দর প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, ফার্মের মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপণ্যের তালিকায় দেখা যায়, এক মাস আগেও গরুর মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। দুই মাসে আগে ছিল ৪৮০ টাকা। রমজান মাস শুরুর আগে মাংসের দাম নির্ধারণ করে থাকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। তাই বৈঠকের কয়েক মাস আগেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দেন মাংস বিক্রেতারা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, রমজান মাসে কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না, সরবরাহেও ঘাটতি থাকবে না। কিন্তু এরই মধ্যে দাম বাড়ছে। এখন পণ্য সরবরাহ ও পরিবহনে কোনো সমস্যা নেই। তাই সরকারের নজরদারি জোরদার করতে হবে।