বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে একই দিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে হাজির হতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।
রফিকুল ইসলাম বিআইডব্লিউটিএর সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের টোল আদায়কারী। ৮ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে রফিকুলকে ২৩ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়িসহ জমি ক্রয়, প্রাইভেট কার, ওয়ার্কশপ, মানিকগঞ্জে জমি ক্রয়সহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে তারা। সংস্থার চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাফর আহমদ চিঠিতে সই করেন। তিনি ওই অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
দুদকের তলবে হাজির হওয়ার সময় স্ত্রী ও তাঁর আয়কর নথির কপি ও সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আরেকটি অনুসন্ধান চলছে। সেই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ১৬ এপ্রিল দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকীর পাঠানো চিঠিতে তাঁকে ২৩ এপ্রিল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, সামান্য কর্মচারী হয়েও কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এর আগেও তাঁকে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে চিঠি দিলেও তিনি হাজির হননি। এদিকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলামকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে তাঁদের পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদ, ব্যাংক হিসাবসহ ১২ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। দুদকে হাজির না হওয়ার বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, দুদকে সব সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার পরও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হলে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে তিনি হাজির হননি।