শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর রেলিং ভেঙে বাস উল্টে নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জনই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাস। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসময় আরো ২৯ জন আহত হয়েছেন।
নিহত ১৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালা মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, গাজীপুর জেলার টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে ইমাম হোসাইন রনি, যশোর সদরের কাউসার মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মোহাম্মদ আসিফ, শাফাতুল ইসলাম, রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মো. হোসাইন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শাহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া ও দেবিদ্বার উপজেলার হামিদ মিয়ার ছেলে গিয়াস।
এ ছাড়া লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন, নোয়াখালী জেলার হেলাল উদ্দিন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এদিকে নিহত সাতজনের নাম পাওয়া গেছেও তাদের অন্য পরিচয় জানাতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- খাইরুল ইসলাম, রাসেল মোল্লা, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব ও রানা মিয়া।
স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবাসী বাংলাদেশিরা হচ্ছেন-চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলা জেলার আল আমিন ও বুরহান উদ্দিন, লক্ষীপুর জেলার মিনহাজ ও রিয়াজ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার জুয়েল, মাগুরা জেলার আফ্রিদি মোল্লা ও মিজানুর রহমান, নোয়াখালী জেলার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লা জেলার ইয়ার হোসাইন ও জাহিদুল ইসলাম এবং যশোর জেলার মোশাররফ হোসাইন।
এছাড়া এ যাবৎ চিকিৎসা সেবা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী ও কুদ্দস।
উল্লেখ্য যে, ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট ফায়ারসার্ভিস দলের সদস্যদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতীয়তার রয়েছে বলেও জানা যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন