সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল ইউরোপের ৩ দেশ: নাখোশ ইসরাইল

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ে। এ ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। এর আগেই এ তিনটি দেশ এই স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইসরাইল। তারা স্পেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, মাদ্রিদ ইহুদিদের গণহত্যা করতে উস্কানি দিচ্ছে।

ওদিকে স্লোভেনিয়াও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে। তারাও এই স্বীকৃতি দিতে পারে। এর ফলে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪৩টি দেশ। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশ আছে।

কিন্তু এর মধ্যে নেই ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সমঝোতার মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমাধান হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

ক্রমশ চাপ বাড়ছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর। শুধু তা-ই নয়, এসব দেশের প্রধানমন্ত্রীরা আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মোট ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিও একই আহ্বান জানানো হয়। আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ের এমন উদ্যোগকে মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এই তিনটি দেশ তাদের বিবেকের কারণে সাড়া দিয়েছে। 

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলও তাদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেছেন। ফলে ইউরোপের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কে টান পড়েছে। ওই তিনটি দেশ বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি অর্জনের জন্য সবচেয়ে উন্নত পথ হলো তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সমাধান। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে তার নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল। সঙ্গে সঙ্গে ওই তিনটি দেশে নিয়োজিত তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইসরাইল। 

সিএনএন বলেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ওই তিনটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ফলে ইসরাইলের ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি হবে। কারণ, তারা গাজাকে সাত মাসের যুদ্ধে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। সেখানে মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। হত্যা করেছে কমপক্ষে ৩৬,০০০ মানুষ। এর ফলে অবিলম্বে গাজার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস। গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরাইল আন্তর্জাতিক অপ্রত্যাশিত কূটনৈতিক চাপ মোকাবিলা করছে। ওদিকে নিজদেশে নিজের সরকারের ভিতরে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে নেতানিয়াহুর। ৮ই জুন পর্যন্ত তাকে আলটিমেটাম দিয়েছেন একজন মন্ত্রী। এ সময়ের মধ্যে তার দাবি না মানলে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তিনি। মানব জমিন

আরো পড়ুন ...