শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বরিশাল ও খুলনা সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থীরা। বরিশালের ফলাফল নিয়ে আগে থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গন এবং গণমাধ্যমের কৌতূহল ছিল। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের মহড়া আর উত্তেজনার মধ্যে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে গতকাল নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সেখানে রক্তাক্ত হন। অবশেষে ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ জিতেছেন। অন্য দিকে খুলনায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে তৃতীয়বার মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক। বরিশালে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ছাড়া সকাল থেকে দুই সিটিতে মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারদলীয়দের বিরুদ্ধে হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের বাধা, জোরপূর্বক ভোট দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

বরিশাল ব্যুরো থেকে আযাদ আলাউদ্দীন জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। বরিশালে তিনি খোকন সেরনিয়াবাত নামে বেশি পরিচিত। ইভিএমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ১২৬ কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। গতকাল রাত সোয়া ৯টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

এ ছাড়াও স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল আহসান রুপন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলী হোসেন হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট ও আসাদুজ্জামান হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫২৯ ভোট।

নৌকার ব্যাজ ও গেঞ্জি গায়ে বহিরাগতদের মহড়া : বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ ও গেঞ্জি পরে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহিরাগত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নগরীর বাইরের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। গতকাল সকাল থেকে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুল, চৈতন্য স্কুল, সদর গার্লস, জিলা স্কুলসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের বাইরে সরাসরি অবস্থান করে এমন চিত্র দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এবার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়রদের নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মীকে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তাদের কাজ হলো ভোটকেন্দ্রের বাইরে নৌকার ব্যাজ ও গেঞ্জি পড়ে ঘোরাঘুরি করে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নৌকার এমন সমর্থক (বহিরাগত) দেখে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন, এমন কৌশল নিয়েছেন তারা। বরিশাল সদর গালর্স স্কুলের সামনে নৌকার ব্যাজ পরা কয়েকজনের ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নগরীর ভোটার নন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

জাতীয় পার্টির লাঙলের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস ও স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট হয়ে নৌকার পক্ষে ভেতরে প্রভাব বিস্তার করেছে আওয়ামী লীগ ক্যাডার। আমরা আগেই আওয়ামী লীগের বহিরাগতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসিতে অভিযোগ করেছি, গণমাধ্যমেও সে খবর এসেছে; কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজকে বরিশালের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে ও গেঞ্জি পরে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করেছে, অথচ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটি তার একটি বাস্তব প্রমাণ।

খুলনা থেকে এরশাদ আলী ও শেখ শামসুদ্দিন দোহা জানান, বিরাট ব্যবধানে জিতে তৃতীয় বারের মতো খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক। ২৮৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট গণনা শেষে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। ৬০ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল। ৩১ ওয়ার্ডের মধ্যে কাউন্সিলর পদে ৩০টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। শুধু ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে খুলনা জেলা শিল্প কলা একাডেমির হলরুম থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আলাউদ্দিন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়।

এর আগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে হেরেছিলেন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয়বার মেয়র হন। বর্তমানে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক।
বিএনপির ভোট বর্জনের ফলে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এ ছাড়া ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রধান দুই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট দেখা গেলেও অধিকাংশ বুথে বাকি চার মেয়রপ্রার্থীর কোনো এজেন্ট ছিল না। কেসিসির রিটার্নিং অফিসার মো: আলাউদ্দিন বলেন, কোথাও ভোট বাতিল বা কোনো কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়নি।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে তালুকদার আবদুল খালেক ভোট দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য ইলেকশন কমিশন সব প্রকার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য আমি একজন প্রার্থী হিসেবে এটাকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে খুলনার চলমান উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করবে। নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন- আমি মেনে নেবো।

তবে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর অন্যতম জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়রপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার কলেজিয়েট স্কুলকেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর বুথ থেকে বেরিয়ে অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে ভোটাররা সমস্যায় পড়ছে। ইভিএমে সমস্যার কারণে ভোটারদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, এই জাদুর বাক্স না দিতে। কিন্তু সে কথা ইসি শোনেনি। এই জাদুর বাক্সের মধ্যে কারচুপি থাকতে পারে বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। এ সরকারের আমলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব না।
অপর দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়াল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াখামার এলাকার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদরাসা কেন্দ্রে সকালে ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এখনো ভোটের পরিবেশ ভালো। সব কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্ট আছে। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র না হলে, আশা করছি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। তবে তিনি মানুষের ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। খালিশপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের একটা কেন্দ্রে হাতপাখায় টিপ দিলে নৌকা আসছে। কিছু কিছু মেশিনে বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। মেশিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো কাজ করছে না।

গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খালিশপুর রোটারি স্কুলের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের নারী ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। রোটারি স্কুলের উত্তর ভোটকেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ১৪৬ জন। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় এ কেন্দ্রের সাতটি বুথে মাত্র ৭৪টি ভোট পড়ে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মনিরুজ্জামান প্রায় দুই শতাধিক নারীর এক বিশাল বহর নিয়ে রোটারি স্কুলের উত্তর ভোটকেন্দ্রে আসেন। তার বিরুদ্ধে অপর দুই কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল গাজী উজ্জ্বল ও মাস্টার শফিকুল আলম নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন।

বেলা ১২টার সময় খালিশপুর সরকারি হাজি মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও ভোটার উপস্থিতি কম। প্রিজাইডিং অফিসার শেখ আওসাফুর রহমান জানান, কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ২২৫ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯৫টি। ভোট পড়ার হার ২৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। বেলা ২টার সময় ১০২ নম্বর রায়ের মহল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পুষ্পেন্দু দাশ বলেন, এ কেন্দ্রে এক হাজার ৬১৯ ভোটের মধ্যে ৮১১ ভোট পড়েছে। যার শতকরা হার ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ। তিনি বলেন, আশা করছি, বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।
খুলনার গুরুত্বপূর্ণ জেলা স্কুলের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ কেন্দ্রেও ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল কম। বেলা ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের এক হাজার ৪৬৫ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৬৮১টি। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রাশেদুল বশির খান বলেন, বেলা ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৪৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে অনেকটাই বিপরীত চিত্র ছিল বয়রা হাজি ফয়েজউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৩ নম্বর কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশের হাজি ফয়েজউদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের চিত্রও ছিল এক রকম।

সকাল সাড়ে ৯টায় নীরব নিরিবিলি পরিবেশ ছিল ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। গেটে আছেন নিরাপত্তা রক্ষীর কয়েকজন। ভোটার তেমন একটা চোখে পড়েনি। সেখানে ভোটার এক হাজার ২৪৮ জন।
নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ইসলামী আন্দোলনের : হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সাথে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বয়কট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর চাঁদমারি এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। নয়া দিগন্ত প্রতিবেদন

আরো পড়ুন ...