বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
ইসরাইলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি স্কুলের আঙিনায় ধ্বংসস্তুপের নিচে রেখে গিয়েছিল ৩০ ফিলিস্তিনির লাশ। প্লাস্টিকের ব্যাগে হাত-পা-চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদের সেখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি ওই ফিলিস্তিনিদের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমরা স্কুলের আঙিনা পরিষ্কার করছিলাম। এ সময় দেখতে পাই, সেখানে ধ্বংসস্তুপের মতো কিছু জড়ো হয়ে আছে। আমরা সেগুলো সরাতে গেলে দেখতে পাই, এর নিচে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনির লাশ চাপা দেয়া রয়েছে। আমরা তো এমন দৃশ্য দেখে হতবাক।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রথমে দেখতে পেলাম, ধ্বংসস্তুপে কালো প্লাস্টিকের কিছু ব্যাগ রয়েছে। ব্যাগগুলো খুলে দেখি, সেখানে ফিলিস্তিনিদের কয়েক ডজন লাশ। ইতোমধ্যে পঁচন ধরেছে। নিহতদের চোখ, হাত ও পা বাঁধা রয়েছে। তাদের হাতে ও পায়ে প্লাস্টিকের কাফ ব্যবহার করা হয়েছে। চোখ ও মাথায় কাপড়ের স্ট্র্যাপ দেয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিস মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ‘এই ভয়াবহ অপরাধ নথিভুক্ত করে রাখার’ আহ্বান জানিয়েছে।
এক টেলিগ্রাম পোস্টে হামাস বলেছে, ‘ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।‘ এ সময় তাদের এই জাতিগত নিধন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানায় দলটি।
সূত্র : আল জাজিরা/ নয়া দিগন্ত