শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকার শোভাযাত্রা থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ বিএনপির

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সরকার পতনের একদফা দাবি আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বিএনপির লক্ষ্য একদফা আন্দোলন। আর এই আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের অগণতান্ত্রিক সরকারকে বিদায় দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

শুক্রবার বিকালে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ফকিরাপুল মোড়, নটরডেম কলেজ, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমাদের লক্ষ্য একদফা আন্দোলন। একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে আজকে দেশে যে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার ১৮ কোটি মানুষের উপর চেপে বসেছেন তাদের বিদায় নিতে হবে। এটাই আমােদর একদফা আন্দোলন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে নাই। আজকে তারা দেশে গায়ের জোরে মানুষের উপর হামলা-মামলা, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন এবং খুন-গুম করে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ সেটা হতে দেবে না।

নেতাকর্মীদের মঈন খান বলেন, আমরা রাজপথে নেমেছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপনআমরা তাকে মুক্ত করে আনবো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কর্মসূচি অনুসরণ করে রাজপথে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের অগণতান্ত্রিক সরকারকে বিদায় দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির উৎসব তা নয়, বাংলাদেশের উৎসব। কেন উৎসব? এই দল সৃষ্টি হয়েছে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য। বাকশালীরা এই ভোটাধিকবার কেড়ে নিয়েছিল। আর জিয়াউর রহমান এই দল সৃষ্টি করেছিলেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, আইনের শাসন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এবং বাক-স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। সুতরাং এই দলের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। আর আজকের গণতন্ত্র লড়াইয়ের অন্তরায় হচ্ছে, এক নাম্বার হচ্ছে- আওয়ামী লীগের দলীয় পুলিশ বাহিনী। এদের ক্ষেত্রে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আরেকটি অন্তরায় হচ্ছে, বাংলাদেশ আওয়ামী বিচারক লীগ। এরা হচ্ছে গণতন্ত্রের আরেকটি অন্তরায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা এই সরকারের পরিবর্তন চাই। দেশের মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেজন্য একদফা দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো, ইনশাআল্লাহ।

সরজমিন দেখা গেছে, বেলা ২টায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরও বৃষ্টিতে ভিজে নেতাকর্মীরা কর্মসূচির প্রাঙ্গণে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন। পরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলেও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।

শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনা করেন উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানব জমিন

আরো পড়ুন ...