সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় দেশের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে এ আদেশ কঠোরভাবে মানার নির্দেশও দেন আদালত।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল রায়। এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, গর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ পেলে মাতৃগর্ভেই লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এতে গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে, লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করলে তিন বছরের জেলের ব্যবস্থা আছে বলেও জানান রিটকারী। যদিও সম্প্রতি লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি নীতিমালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা তৈরি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে, হাইকোর্ট রুল জারি করলে এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি অনাগত শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে এ রিটটি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। নয়া দিগন্ত