Home Author
Author

uadmin

ঢাকা: বাংলাদেশের নাগরিকত্বের পাশাপাশি আরও ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন বাংলাদেশিরা। বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে এসআরও (স্টেটরি রেগুলেটরি অর্ডার) জারির প্রস্তাবে মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সচিব জানান, বাংলাদেশিরা ইউরোপসহ ৫৭টি দেশের নাগরিক হতে পারতেন। এখন আরও ৪৪টি নতুন দেশ যুক্ত হয়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশিরা নিজ দেশের পাশাপাশি মোট ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন।

নতুন ৪৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে– আফ্রিকা মহাদেশের ১৯টি দেশ, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ১২টি দেশ, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১২টি দেশ ও ওশেনিয়া মহাদেশের একটি দেশ। দেশগুলো হলো- মিসর, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মরক্কো, ঘানা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তিউনিসিয়া, সিয়েরা লিয়ন, লিবিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, গাম্বিয়া, বতসোয়ানা, মরিশাস, ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডর, চিলি, উরুগুয়ে, গায়ানা, কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বাহামা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ডমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস, ফিজি।

এছাড়া সচিব আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে ১১৩৫ জন সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে কাতার। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলা ট্রিবিউন

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিদ্যমান সীমানা হুবহু ঠিক রেখেই ৩০০ নির্বাচনি আসনের সীমানা পুন:নির্ধারনে খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে।

বহুল আলোচিত-সমালোচিত কে এম নূরুল হুদা কমিশন বিগত ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় আসনের সীমানা প্রকাশ করেছিল। সেটিকেই পুন:নির্ধারিত সীমানা আখ্যা দিয়ে এ খসড়া প্রকাশ করলো বর্তমান কমিশন। এতে নতুন সৃষ্ট হওয়া উপজেলা ও ওয়ার্ড অন্তর্ভূক্তির কারনে সাতটি আসনের সীমানায় নামগত পরিবর্তন এসেছে। তবে বাস্তব সীমানায় কোনো রদবদল আসেনি।

খসড়া এ সীমানা নিয়ে কারও দাবি বা আপত্তি থাকলে তা আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এ খসড়া সীমানা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

যে সাতটি আসনে নামগত পরিবর্তন এসেছে সেগুলো হলো- মাদারীপুর-৩, ময়মনসিংহ-৪, সুনামগঞ্জ-১ ও ৩, সিলেট-১ ও ৩ এবং কক্সবাজার-৩।

ইসি সূত্র জানায়, আইনে আদমশুমারির পর জনসংখ্যার যতটা সম্ভব বাস্তব বন্টনের ভিত্তিতে সীমানা পুন:নির্ধারণের কথা বলা হলেও তা মানা হয়নি। এবারের জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, দেশের অন্তত ৭৫টি সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট জেলার গড় জনসংখ্যার চেয়ে ২৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ আসনে জনসংখ্যার ব্যবধান ৫১-৮৮ শতাংশ।

‘বিতর্ক’ এড়াতে জনসংখ্যার এত বড় ব্যবধান রেখেই এ খসড়া প্রকাশ করা হলো। অর্থাৎ জনশুমারির এ প্রতিবেদনকে আমলে নেয়নি ইসি। এছাড়া ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছিল তৎকালীন কমিশন।

পরবর্তীতে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনে। ওই সীমানা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছিল। সেই সীমানাকেই মূলভিত্তি ধরেছে বর্তমান কমিশন। এছাড়া আইনে ইসিকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া থাকলেও তা করা হয়নি।

তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, খসড়া প্রকাশের পর অংশীজনের দাবি-আপত্তি বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক ক্ষেত্রে সীমানা পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি তারা বিবেচনা করবে।

খসড়া সীমানা নির্ধারণে ইসি পাঁচটি কার্যপদ্ধতির কথা জানিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা; প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা রাখা; নতুন সৃষ্ট, সম্প্রসারিত ও বিলুপ্ত প্রশাসনিক এলাকা অন্তর্ভূক্ত করা এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনা করা। এ কারণে সাতটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে।

সেগুলোর মধ্যে কালকিনি উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসনের সঙ্গে ডাসার উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। কালকিনি উপজেলা বিভক্ত করে সরকার কালকিনি ও ডাসার উপজেলা করেছে। ময়মনসিংহ-৪ আসনে ময়মনসিংহ সদর আসনের সাথে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন যুক্ত করা হয়েছে।

ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে নতুন সৃষ্ট মধ্যনগর উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে।  জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ আসনের দক্ষিণ সুরমার নাম পরিবর্তন করে সরকার শান্তিগঞ্জ উপজেলা করায় ওই নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন ও সিলেট সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসনের সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন এর তিনটি ইউপির আংশিক সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় এ আসনে পরিবর্তন হয়েছে।

এক্ষেত্রে খসড়ায় সিলেট-১ আসনে সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ২৭ নম্বর  এবং ৩১ থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয়েছে। একই কারণে সিলেট-২ আসনে পরিবর্তন হয়ে সিটি করপোরেশনের ২৮ থেকে ৩০ ও ৪০ থেকে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে। কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা আসন নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৩ আসনের সদর উপজেলা ভেঙ্গে ঈদগাঁও নামে নতুন আরেকটি উপজেলায় করায় এই নামটিও যুক্ত হয়েছে ইসির খসড়া সীমনায়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

জ্যাভেলিন

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে দ্রুত এগিয়ে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। সে সময় ইউক্রেনের জন্য এমন কিছুর প্রয়োজন ছিল, যা প্রতিপক্ষের হামলা ঠেকাতে পারবে। আর সে কাজটিই বেশ ভালোভাবে করতে পেরেছে জ্যাভেলিন। এটি কাঁধ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ব্যক্তি একাই এটি পরিচালনা করতে পারেন। ব্যবহারের পদ্ধতি সহজ হওয়ার কারণে এ অস্ত্রের গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন ও রেথিয়ন যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে।

লকহিড মার্টিনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার আগে ডিসপ্লেতে কার্সর দিয়ে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে দিতে হয়। জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর এটি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই পরিচালনাকারী ব্যক্তি নিরাপদ অবস্থানে সরে যেতে পারেন। এতে তিনি পাল্টা হামলা থেকেও রেহাই পান।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে রুশ বাহিনী যখন শহর এলাকাগুলোয় ঢোকার চেষ্টা করছিল, তখন জ্যাভেলিন ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছিল ইউক্রেন। জ্যাভেলিন অপারেটর কোনো ভবন কিংবা গাছের আড়াল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিরাপদে সরে যেতে পারতেন।

রুশ ট্যাংকের দুর্বল জায়গাগুলোও ভেদ করতে পেরেছে জ্যাভেলিন। কারণ, জ্যাভেলিন ছোড়ার পর তা বক্ররেখার মতো ওপরের দিকে উঠে যায় এবং ওপর থেকে নিচে থাকা লক্ষ্যবস্তুর ওপর আছড়ে পড়ে।

যুদ্ধের শুরুর দিকে বেশ কিছু রুশ ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গিয়েছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জ্যাভেলিনের আঘাতের কারণে এমনটা হতে দেখা গেছে।

জ্যাভেলিনের ভূমিকা এতটাই ভালো ছিল যে যুদ্ধের আড়াই মাসের মাথায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাবামায় এর উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন। ইউক্রেনের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য সেখানকার কর্মীদের প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

জ্যাভেলিন ব্যবহারের আরও একটি সুবিধা হলো এটি রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। অন্টারিওর ব্রক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল আর্মস্ট্রং দ্য কনভারসেশনে লিখেছিলেন, কম খরচ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবহারের কারণে অন্য দেশগুলোর জন্য এগুলো সরবরাহ করাটা রাজনৈতিকভাবেও সহজ।

হিমার্স রকেট-ব্যবস্থা

হিমার্স রকেট-ব্যবস্থা  ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

হিমার্স

এর পুরো নাম এম১৪২ হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম। মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন হিমার্স–ব্যবস্থার প্রস্তুতকারক ও স্বত্বাধিকারী। আসলে হিমার্স–ব্যবস্থা হচ্ছে একটি পাঁচ টন ওজনের ট্রাক, যেখানে একটি উৎক্ষেপণব্যবস্থা আছে এবং তা থেকে প্রায় একই সঙ্গে ছয়টি রকেট ছোড়া যায়। যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখ সারিতে হামলা চালিয়ে পাল্টা হামলা এড়াতে এটি দ্রুত অবস্থান বদল করে ফেলতে পারে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক কানসিয়ান জানুয়ারিতে লেখেন, ‘যুদ্ধের শুরুর ধাপে জ্যাভেলিন যেমন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তেমনি পরবর্তী ধাপে হিমার্স গুরুত্বপূর্ণ ওঠে।’

হিমার্স যে ধরনের যুদ্ধাস্ত্র ছোড়ে, সেগুলোকে গাইডেড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (জিএমএলআরএস) নামে অভিহিত করা হয়। এসব রকেট ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০ মাইল) দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। জিপিএস–ব্যবস্থায় পরিচালিত হওয়ার কারণে হিমার্স অত্যন্ত যথার্থভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পারে।

গত জুলাইয়ে রুশ সাংবাদিক রোমান সাপেনকভ বলেছিলেন, তিনি খেরসন বিমানবন্দরে একটি রুশ ঘাঁটিতে হিমার্স রকেট–ব্যবস্থা দিয়ে হামলা হতে দেখেছেন। খেরসন এলাকাটি তখন রুশ বাহিনীর দখলে ছিল।

রোমান সাপেনকভ লিখেছেন, ‘ছোট একটি জায়গার ওপর একসঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি রকেট এসে পড়ছে, এমন দৃশ্য দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের অধ্যাপক ইয়াজিল হেনকিন বলেন, হিমার্সের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। এ অস্ত্র দিয়ে হামলার কারণে রুশ বাহিনী তাদের গোলা বারুদের ভান্ডার সরিয়ে নিয়েছিল। এতে যুদ্ধক্ষেত্রের খুব কাছে গোলা বারুদ পাওয়াটা রুশ বাহিনীর জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাওয়াটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল।

সেতুর মতো লক্ষ্যবস্তুগুলোয় দীর্ঘ পাল্লার এই রকেট ব্যবহার করে হামলা চালানোর কারণে রুশ সরবরাহ প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তুরস্কের বেরাকতার কোম্পানির তৈরি টিবি২ ড্রোন

তুরস্কের বেরাকতার কোম্পানির তৈরি টিবি২ ড্রোন ছবি: এএফপি

বেরাকতার টিবি২ ড্রোন

এ ড্রোন তুরস্কের নকশায় তৈরি। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে এটি বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত চালকবিহীন ড্রোনগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

এ ড্রোন অপেক্ষাকৃত সস্তা। এটিতে অভিযানের ভিডিও রেকর্ড করা থাকে। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার নিয়ন্ত্রিত রকেট এবং স্মার্ট বোমা ছুড়ে রুশ সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদ ও সরবরাহ–ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক আরন স্টেইন লিখেছেন, টিবি২–এর ভাইরাল ভিডিওগুলো টিকটক যুগে আধুনিক যুদ্ধাবস্থার যথার্থ দৃষ্টান্তকে উপস্থাপন করছে। বেরাকতার টিবি২ কোনো জাদু অস্ত্র নয়, তবে এটি যথেষ্ট রকমে ভালো।

তবে বেরাকতার টিবি২ দুর্বল দিকও আছে। আরন স্টেইন মনে করেন, এর গতি কম। আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এর সক্ষমতাও কম।

যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিও তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিরক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট ওরিক্সের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন যে ৪০ থেকে ৫০টি টিবি২ ড্রোন পেয়েছিল, তার মধ্যে ১৭টি যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে গেছে।

তবে স্টেইন মনে করেন, ড্রোনগুলো সস্তা হওয়ায় এগুলো ধ্বংস হলেও খুব একটা কিছু যায় আসে না। সস্তা হওয়ায় এসব ড্রোন নষ্ট হলে আবার সহজে নতুন ড্রোন নিয়ে আসা যায়।

টিবি২ নিয়ে ইউক্রেনে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়েছে। আর তাতেই বোঝা যায় টিবি২ ইউক্রেনীয়দের কাছে কতটা জনপ্রিয়। প্রথম আলো

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে – মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ঃ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অতীতের মত সরকারের কলাকৌশল আর তালবাহানা নির্বাচন জাতি আর দেখতে চায় না। সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে ততই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না।
জাতির মুক্তির জন্য খেলাফত মজলিসের ৮ দফা মানতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক
নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী আদায়ে দেশব্যাপী জেলা-মহানগরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন ও মুফতি আজীজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের
যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নূর হোসেন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করিম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কে এম ইমরান হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা আনোয়ারুল করিম, আলহাজ্ব আমীর আলী হাওলাদার, এনামুল হক হাসান, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, হাফেজ মুহাম্মদ সালমান, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল বলেন, দেশ এক সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। মানুষ ভোট-ভাতের অধিকার বঞ্চিত, ইসলামী শিক্ষা সংকোচন করা হচ্ছে, বেকার সমস্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এসব সংকট উত্তরণে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী মেনে নিতে হবে। জনগণের সরকার কায়েমে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশের পর এক বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদম ফোয়ারা, পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাকিংর সামনে এসে শেষ হয়।
এদিকে চলমান সংকট নিরসনে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী আদায়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগরী, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ থানায়, মৌলভীবাজার শহর, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নারয়নগঞ্জ,
মানিকগঞ্জ, সাভার, চট্টগ্রাম মহানগরী ও উত্তর জেলা, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরিশাল মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী হচ্ছে- ১. ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা ২. দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের
অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ৩. নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: ৪. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ
রাখা ৫. গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা ৬. রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিতকরণ ৭. পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা ও ৮. বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দান।
0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব – ড. আহমদ আবদুল কাদের
ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশী মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বিধ্বস্ত ঘড়বাড়ি আর আহত মানুষের সংখ্যা অগনিত। এ মহা বিপর্যয়ে বিশ্ববাসীকে সামর্থানুয়ায়ী আর্তমানবতার পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ বারিধারাস্থ তুরস্কের ত্রাণ সমন্বয় (টিকা) অফিসে খেলাফত মজলিসের পক্ষে থেকে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য উপহার সামগ্রী হস্তান্তরের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় বারিধারাস্থ তুরস্কের ত্রাণ সমন্বয় অফিসে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তুর্কি দূতাবাসের রিলিজিয়াস সার্ভিস কোঅর্ডিনেটর ওজগুর ওজুরেক এর কাছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য খেলাফত মজলিসের উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো কম্বল, জ্যাকেট ও সোয়েটার। খেলাফত মজলিসের প্রতিিিনধ দলে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের নায়বে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আলহাজ্ব আমির আলী হাওলাদার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থি ছিলেন।

এ সময় ভূমিকম্পে নিহতেদর মাগফিরাত ও আহতেদর আশু আরোগ্যের জন্য সাহায্য কামনা করে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী।

পরে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বারিধারাস্থ তুর্কী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বরাবর খেলাফত মজলিসের একটি শোক বার্তা পৌছে দেয়া হয়।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: র‌্যাংগস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও দ্য ডেইলি স্টারের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আ. রউফ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি মৃত্যুকালে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। তারা হচ্ছেন—রোমানা রউফ চৌধুরী, রোমো রউফ চৌধুরী ও সোহানা রউফ চৌধুরী।

আ. রউফ চৌধুরীর নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে বিক্রমপুরের পৈতৃক বাড়িতে। সেখানে বাদ এশা তার দাফন সম্পন্ন হবে।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

শাহনেওয়াজ প্রধান

ঢাকা: হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলিফ লায়লা’-র সিন্দাবাদখ্যাত অভিনেতা শাহনেওয়াজ প্রধান। তিনি ভারতের সিনেমা, নাটক ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করতেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া

১৭ ফেব্রুয়ারি একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। সেখানে হঠাৎ ‘প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হচ্ছে’ বলার পরই জ্ঞান হারান তিনি। এর পর তাকে দ্রুত ‘কোকিলাবেন দিরুভাই আম্বানি হাসপাতাল’-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাহনেওয়াজ।

ঘটনাচক্রে হাসপাতালে থাকা অভিনেত্রী সুরভি তিওয়ারি গণমাধ্যমে জানান, ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অভিনেতা শাহনেওয়াজকে তার ভাইয়ের পাশের বেডে রাখা হয়। তিনি ডাক্তারদের বলতে শোনেন, তারা শাহনেওয়াজের স্পন্দন পাচ্ছেন না। তার হৃদপিণ্ডও কাজ করছে না।

সুরভি অভিনেতার পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, কয়েক মাস আগেই বাইপাস সার্জারি হয়েছিল শাহনেওয়াজের। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ছিল। আমাদের সময় ডটকম

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া ১০টি শহরের ৩০ হাজার বাড়ি খুব দ্রুত পুনর্নির্মাণ শুরু করা হবে। খবর ডেইলি সাবাহর।

দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) সদর দপ্তরে বুধবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, অনুসন্ধান, উদ্ধার ও ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার পরপরই পুনর্গঠন কাজ শুরু হবে।

ধসে পড়া ভবন থেকে সর্বশেষ জীবিত ব্যক্তিকে বের না করা পর্যন্ত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমন বাড়ি নির্মাণের জন্য তুরস্কের হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (টিওকেআই) স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

এরদোগান বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটি এক বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাড়িগুলো নির্মাণ করবে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে দুটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ৩ হাজার ১০৭টি আফটার শক (পরাঘাত) হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪১৮ জন। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে আহত ১৩ হাজার ২০৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তুরস্কের ২৮ হাজার সৈন্য এবং আড়াই লাখ বেসামরিক কর্মী ভূমিকম্প অঞ্চলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যুগান্তর

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে যে বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, একটি প্রশ্ন ওঠেছে যে প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কর্মবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। এটা আছে। এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকেই বলতে চেয়েছেন রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ। আমি সিইসি এবং নির্বাচনি কর্তা হিসেবে ওই আইনটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলাম। কারণ পরীক্ষা করার সময় যেটাকে মনোনয়নপত্র বাছাই বলে, সেটা কিন্তু দায়সারা দায়িত্ব নয়। প্রার্থী যাই বলুক না কেন সিইসিকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে কোনোরুপ সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা আছে কিনা।

আমরা দেখলাম স্পষ্টত কোনো আইনগত অযোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, দুদক আইনের ৯ ধারায় বলেছে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগলাভে যোগ্য হবেন না। আমরা কিন্তু এখান থেকে কোনো নিয়োগদান করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগদান করেননি। প্রধান বিচারপতিও নিয়োগদান করেননি। কেউ নিয়োগদান করেননি এবং কেউ নিয়োগদান করতে পারেন না। উনি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা উনাকে নির্বাচিত করেছি প্রচলিত প্রথা অনুসারে এবং নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য এটা বুঝতে হবে। তাকে যদি এখান থেকে নিয়োগ দেয়া হতো তাহলে অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব আমাদের নেই। কারোরই নেই। যেমন আমাদের জাতীয় সংসদের সদস্যগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন না। তারা নির্বাচিত হন, সেটাই তাদের নিয়োগের সমতুল্য।

তিনি আরো বলেন, এই বিষয়টি কিন্তু ১৯৯৬ সালে একটি মামলা হয়েছিল যখন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অফিস গ্রহণের পূর্বেই জনাব আবু বকর সিদ্দিক ভার্সেস অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন মামলা হয়েছিল। সেই রিট মামলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মামলায় যে অপারেটিভ পোর্শন সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে সাহাবুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ বৈধ। এতে কোনো অবৈধ্যতা হয়নি। আলোচনায় তিনি (আদালত) বলেছেন এই পদটি অফিস অব প্রোফিট হলেও তিনি প্রজতন্ত্রের কর্মচারি নন। সেখানে কোন পদগুলো লাভজনক এবং কোন পদগুলো সাংবিধানিক পদ, সেগুলো আলাদা করে দেখানো হয়েছিল।

আমরা সেই প্রশ্নে না গিয়ে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চুড়ান্ত একটি রায় বলে দিয়েছে যে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ঠিক তেমনি অবসরপ্রাপ্ত কমিশানের নিয়ম। তাই রাষ্ট্রপতি পদে অনুরুপভাবেই (সাবেক দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন) অবৈধ নয়। সেই দিক থেকে এই প্রশ্নে বিভ্রান্তির সৃষ্টি বিভিন্ন ধরণের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি অনাবশ্যক বা সমীচিন হবে না বলে আমি মনে করি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাকে দেখতে হবে আইনের কোথায় কী বলেছে। এটা হচ্ছে সংবিধিবদ্ধ একটি অযোগ্যতা যে কর্মাবসানের পদে তিনি কোনো পদে নিয়োগলাভ করবেন না। নির্বাচন ও নিয়োগ এক জিনিস নয়। একটি মানুষ যখন নির্বাচিত হন তার চরিত্র একটি আর যখন নিয়োগপ্রাপ্ত হন তখন চরিত্র আরেকটি। উনি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে, আর প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। যেহেতু একজন মাত্র প্রার্থী ছিলেন এবং দু’টো মনোনয়নপত্র ছিল। আমি নির্বাচনি কর্তা হিসেবে বিবেচনা করেছি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং এর বাইরেও প্রচলিত যে আইন কানুন সংবিধানের ৬৬ ও ১৪৭ অনুচ্ছেদ এবং সেই রায় বিবেচনায় করে দেখেছি এই পদে তার নির্বাচনে কোনো ধরণের অযোগ্যতা নেই। কাজেই সেই জিনিসটা আমি আপনাদের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করতে চাচ্ছি যে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে যদি কোনো ধরণের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, সেটা হবে অনাকাঙ্খিত।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনার আকাশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভূপাতিত করা চীনা বেলুন থেকে গোয়েন্দা ডিভাইস পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন সেনারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সোমবার জানিয়েছে, চীনা সেই বেলুনটি থেকে খুবই সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেছে, যা গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ড এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বেলুনে সন্নিবেশিত স্পর্শকাতর ডিভাইস দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, গোয়েন্দা নজরদারির জন্যই এ বেলুন ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে বেলুন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে চীন। চীন বলেছে— ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকা বিনা অনুমতিতে তাদের আকাশসীমায় অন্তত ১০টি বেলুন উড়িয়েছে।

আমেরিকার আকাশে চীনের বেলুন ওড়ানো নিয়ে যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন চীনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হলো। খবর সিনহুয়ার।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমেরিকার বেলুন সম্পর্কে অভিযোগ করেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি কানাডার আকাশ থেকে আমেরিকা ও কানাডা সম্মিলিতভাবে যে উড়ন্ত বস্তু ভূপতিত করেছে, সে সম্পর্কে বেইজিংয়ের কোনো ধারণা নেই। তবে আমেরিকা প্রথম যে বেলুনটি ভূপাতিত করেছে সেটি চীনের।

এ সময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনাবশত চীনের বেলুনটি আমেরিকার আকাশে চলে গেছে। সপ্তাহখানেক আগে আমেরিকার আকাশ থেকে চীনের একটি বেলুন ভূপাতিত করা হয়।

আমেরিকার দাবি, গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য চীন ওই বেলুন পাঠিয়েছে, তবে চীনা তা অস্বীকার করে চলেছে।

এর পর আমেরিকা ও কানাডার আকাশ থেকে আরও তিনটি উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করা হয়। এ নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে মারাত্মক কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail