শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
গাজার পর এবার লেবাননের দক্ষিণে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সোমবার একদিনেই তাদের নৃশংস হামলায় কমপক্ষে ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৬৪৫ জন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও জাতিসংঘ জরুরীভাবে এ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছর ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তারপর থেকে লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বিক্ষিপ্তভাবে ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল তা সবচেয়ে বড় হামলা। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার ইসরাইল জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহ’র তিন শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা উত্তর ইসরাইলে তিনটি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরাইলের সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে চলা সহিংসতার মধ্যে এদিনের হামলা সবচেয়ে মারাত্মক। বিশ্ব শক্তিগুলো ইসরাইল ও হিজবুল্লাহকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। কয়েকদিনে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের দক্ষিণ ফ্রন্ট থেকে হঠাৎ করে লেবাননের উত্তর সীমান্তে সংক্রমিত হয়েছে সহিংসতা। দক্ষিণ লেবাননের জওতার গ্রামের ৬০ বছর বয়সী গৃহিণী ওয়াফা ইসমাইল বলেন, আমরা বোমাবর্ষণের মধ্যে ঘুমাই ও জেগে উঠি। এটাই আমাদের জীবনের বাস্তবতা। অন্যদিকে ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি লেবাননের জনগণকে হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু এড়াতে বলেছেন। কারণ হামলা ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। হাগারি বলেন, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী লেবাননের সর্বত্র বিস্তৃত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে (আরও) ব্যাপক ও সুনির্দিষ্ট হামলা চালাবে। পাশাপাশি তিনি বেসামরিকদের নিজের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছেন। ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা তাদের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসকে সমর্থনে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইলের সঙ্গে লড়াই করছে। বিভক্ত লেবাননে, দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের বড় অংশ এবং রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠগুলো হিজবুল্লাহ’র শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়।