শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রবিবার রাইসিকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহত হয়েছেন কিনা বা তিনি আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তবে, এতে এই খবরের কোনো সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
ইরানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। এ ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসি আহত হয়েছেন কিনা, তাও জানা যায়নি।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকারী দল ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। উদ্ধারে যুক্ত হয়েছে রেড ক্রিসেন্ট ও সামরিক সদস্যরাও। স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলছে, এলাকাটি কুয়াশাচ্ছন্ন। এ কারণে হেলিকপ্টারের অবস্থান বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, হেলিকপ্টারটি সানগুন নামক একটি তামার খনির কাছে বিধ্বস্ত হয়। এটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোফা এবং ভারজাকানের মধ্যে অবস্থিত এবং এটি ইরানের বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই উদ্ধার অভিযানে ড্রোনের পাশাপাশি ৮টি অ্যাম্বুলেন্সও জড়িত।
তবে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব অধ্যয়নের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদির মতে, উদ্ধার টিম হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এটি হতে পারে কারণ দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ বা এমনটিও হতে পারে যে এলাকাটি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত নয়৷এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফিরেছে। যে হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান ও আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলি-হাসেম ছিলেন। আলী–হাসেম ওই অঞ্চলে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রতিনিধি ছিলেন।
আইআরএনএ নিউজ বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, রাইসি কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।