শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানোর কয়েক দিন পর ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে ভারত। দেশটি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব দলের সংগ্রহণে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দেশটি জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আতিথ্য দেওয়ার পরিকল্পনা করছে; ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছে দলটি। এদিকে আসন্ন নির্বাচন যথাসময়ে এবং তত্ত্বাবধায়ক গঠন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য জোর দিয়ে আসছে শেখ হাসিনার সরকার। কারণ ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি আইন করে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
টেলিফোনে দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জিএম কাদের সরকার এবং বিএনপি উভয়ের সঙ্গে ভারসাম্যভাব বজায় রাখার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের জন্য এগিয়ে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সরকারের জন্য। আমরা চাই, সব পক্ষ বসুক। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে তারা আলোচনা করুক।’
অবশ্য বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়নি বলে জানান জিএম কাদের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টিতে জোর দিয়ে আসছে বিএনপি; কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ঠিক কেমন হওয়া উচিত, তা তারা স্পষ্ট করেনি।
একটি তৃতীয় বিকল্প সমর্থন করতে দেখা গেছে জাতীয় পার্টির এই নেতাকে। তিনি বলেন, এটি একটি সমঝোতার সূত্র, যা পক্ষগুলোর অনমনীয় অবস্থানের একটা সমাধান দিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, আমাদের মনে একটি পরিকল্পনা আছে এবং যখন সর্বদলীয় সংলাপ হবে তখন আমরা তা টেবিলে রাখব।