ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার সকাল থেকে উপজেলা জুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং গভীর রাত থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার ভোর থেকে কখনো ভারী আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে প্রকৃতিতে অন্ধকার রূপ ধারণ করেছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনাকে ৭ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল গভীর রাত থেকে বৃষ্টির সাথে যুক্ত হয়েছে দমকা হাওয়া। এ বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিষখালী তীরের মানুষের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় সকল সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ উপজেলার ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নিম্নচাপটি উপকূলীয় এ অঞ্চলের পায়রা ও বিষখালীর মাঝখানে বেতাগী উপজেলায় অবস্থান করছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষখালী নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের মানুষদের মধ্যে এ আতঙ্ক আরো বেশি। রাত বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।
বিষখালী নদী তীরের ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা সজল মাহমুদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে বিষখালীর তীরে বসবাসকারী ঝোপখালীর বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়া নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রস্তুত রয়েছে শুকনো খাবার।