সালেহ্ বিপ্লব: হযরত মুহম্মদ (সা.) ওফাত নেওয়ার আগেই সাহাবীদের জানিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিধানের জুব্বাটি পাবেন ইয়েমেননিবাসী হযরত ওয়াইস করনী (রহ.)।
হযরত ওমর (রা.) খলিফা হওয়ার পর হযরত আলীকে (রা.) নিয়ে কুফা নগরীতে যান। দরবেশ ওয়াইস করনিকে খুঁজে বের করে মহানবীর পবিত্র জামাটি তাঁর কাছে হস্তান্তর করেন।
ওয়াইস করনির বংশধররা অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত ইরাকে বসবাস করতেন। পরম যত্মে তারা মহানবীর জুব্বা সংরক্ষণ করেন। এক সময় করনি পরিবার ইরাক থেকে পশ্চিম তুরস্কে চলে যেতে বাধ্য হন। কুসাদাসির এজিয়ান শহরে বসতি স্থাপন করেন। ১৬১১ সাল পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড
১৬১১ সালে উসমানীয় সুলতান এবং খলিফা আহমেদ জানতে পারেন নবীজীর (সা.) পোশাকটির কথা। প্রথমে তিনি জুব্বাটি নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পরে আলেমদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলান। তখন তিনি ওয়াইস করনির বংশধরদের ইস্তাম্বুলে বসবাসের আমন্ত্রণ জানান।
সে সময় প্রতি বছর রমজান মাসে জনসাধারণকে নবীজীর (সা.) জুব্বা দেখার সুযোগ দেওয়া হতো। দর্শকের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় সুলতান আব্দুল মেসিদের নির্দেশে হিরকা-ই শরীফ মসজিদের পরিসর বাড়ানো হয়। ১৮৫১ সাল থেকে মহানবীর (সা.) জুব্বাটি সেখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
ডেইলি সাবাহ জানায়, করোনার কারণে গত দুই বছর জুব্বা প্রদর্শন বন্ধ ছিলো। এ বছর আবারও তা চালু করা হয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের সময়