ঢাকা: দেশে এখন থেকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৪ মাস পার হলেই বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে। আগামী ১৭ই মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে, সেদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশে এতদিন করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছিল। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।
১৭ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আমরা টিকা দেয়ার বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ দেয়া হবে। এরমধ্যে দুই কোটি ডোজ দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। বাকীটা প্রথম এবং বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সময় ৪ মাস পার হয়েছে তারা এখন থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। যারা টিকা নেবে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এতদিন দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেয়া হতো।
কিন্তু এখন থেকে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর যাদের চার মাস হয়ে গেছে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। বুস্টার ডোজের জন্য আগের নিয়মেই মোবাইলে এসএমএস যাবে। কেউ যদি এসএমএস নাও পায় তাহলে সে আসলে টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এ পর্যন্ত ১২ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ, ৯ কোটি ৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আমরা অপেক্ষায় আছি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার অপেক্ষায়।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।